• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লায় অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকিতে ফসলি জমি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুমিল্লায় অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকিতে ফসলি জমি

থামছে না প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য

  • কুদরত উল্যাহ, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ফসলি জমি ও নদীর গভীর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পুকুর ভরাট ও ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শাকতোলায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

এতে ওই এলাকায় ২ গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও দৌরাত্ম্য কমছেনা বালু উত্তোলনকারীদের। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইশগাঁও ইউনিয়নের উদাইশ গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া, প্রায় এক মাস ধরে শাকতোলা গ্রামের পূর্বপাশে বছির, আবুল কালাম, আলম, নূর ইসলাম এদের ফসলি জমির পাশেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় এক মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন তারা হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, বাড়ি-ঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এতে আসপাশের ফসলি জমি ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

শাকতোলা গ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামসহ শত শত বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এদিকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গ্রামের কয়েকজন কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে হাওরা সেতুর কয়েক গজ দূরে থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজিয়া ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। আমার প্রতিনিধি পাঠিয়ে ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছি, এবং পরবর্তীতে ড্রেজার চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads