• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

খানসামায় পাকাবাড়ি পেল ১০ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল পরিবারগুলোর জীবনমান উন্নয়নে দিনাজপুরের খানসামায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১০টি পরিবারকে আধা পাকা ইটের বাড়ি উপহার হিসেবে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল পরিবারগুলো এমন বাড়ি পেয়ে আনন্দিত।

ইউএনও খানসামা’র কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে ৫টি, সহজপুর গ্রামে ৩টি,পূর্ব ও পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামে ২টি মিলে মোট ১০টি সুন্দর ডিজাইনের সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। যেখানে প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে সিলিংসহ চৌচালা রঙ্গিন টিনের ছাউনির দুইটি রং করা পাকা ঘর। যার মোট দৈর্ঘ্য ২২ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুট। মেঝে পাকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি করে লোহার শিট দিয়ে তৈরি দরজা ও দুইটি করে জানালা। ঘরের একপাশে করা হয়েছে টয়লেট, টিউবওয়েল এবং অপরপাশে একটি পাকা বারান্দা ও সিঁড়ি।

এই প্রকল্পে ১০টি বাড়ি নির্মাণের জন্য মোট ব্যয় হয়েছে ২২ লাখ টাকা।

হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদি পেশা কৃষি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কষ্ট করে চলে তাদের জীবন জীবিকা। এসব পরিবার এই অবস্থাতেও আধা পাকা বাড়ি পেয়ে অশেষ কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ তাদের জন্য নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, পিছিয়ে পড়া এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাদের নতুন পাকা বাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ যেমন স্কুল ব্যাগ, খাতা, ড্রয়িং পেনসিল, জ্যামিতি বক্স, রেইন কোট এবং সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের জন্য ক্রীড়া সামগ্রী আর বাদ্যযন্ত্র প্রদান করা হয়। এছাড়াও শীতবস্ত্র, স্বাস্থ্য উপকরণ, আসবাবপত্র, বাইসাইকেল প্রদান ও কর্মসংস্থানের জন্য ঝুট কাপড় থেকে পাপোশ তৈরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

খামারপারা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী বুদরায় হেমরব বলেন, তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনির কুঁড়ো ঘরে বসবাস করে আসছিলাম। আমরা দীর্ঘ বছর থেকে এ কুঁড়ো ঘরে কষ্ট করে বসবাস করে আসছি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া বাড়িটি বিনামূল্যে পেয়ে আমরা বহুত খুশি।

ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সহজপুর গ্রামের সুবল মুরমু জানান, স্বপ্নেও ভাবিনি ইটের পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারবো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আবেগাপ্লুত কন্ঠে সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার সুস্থতা কামনা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষিবিদ আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামতে প্রতিটি গৃহহীনের গৃহের সংস্থান করার অংশ হিসেবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে প্রকৃত দরিদ্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবার বাছাই করা হয়েছে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়িগুলো তৈরি করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, তাদের জীবনমান উন্নয়নে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সর্বদা পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads