• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশে মাত্র ৫৮ জন সদস্য!

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

সড়কে বিশৃঙ্খলা - ১

কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশে মাত্র ৫৮ জন সদস্য!

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুমিল্লার সড়কে যানবাহন চলাচলে বিশৃঙ্খলা বাড়ছে দিন দিন। যানজট অথবা জটলা নগরীর প্রতিটি মোড়ের নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যে ট্রাফিক পুলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি সেখানেই কুমিল্লায় জনবল সংকটে ধুকছে পুলিশের এই শাখাটি। মাত্র ৪৯ জন কনস্টেবল ও ৮ জন সার্জেন্ট নিয়ে সেবা দিয়ে আসছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু কুমিল্লা নগরীতেই শুধু অন্তত ২৫ টি পয়েন্টের প্রয়োজন দ্বিগুন বেশি জনবল।

কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের তথ্য মতে, নগরীর চকবাজার বাসস্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড, রাজগঞ্জ মোড় ও থানা রোড এর মাথায়, কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড় ও পূবালী চত্বর, শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এর পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্ব, টমছমব্রীজ, আদালত মোড়, রানীর বাজার, পুলিশ লাইন্স, সালাউদ্দিন মোড়, পদুয়ার বাজার, নজরুল এভিনিউ মডার্ন স্কুল, ঝাউতলা মুন হাসপাতাল, বাদুরতলা ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল, রামঘাট কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতাল, কুচাইতলী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, তেলিকোনা মোড়সহ অন্তত ২৫টি জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্থাপনা অত্যাবশ্যক। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সময়ের প্রয়োজনে দরকার হয় ট্রাফিক মোতায়েন। প্রতিটি মোড়ে যদি দুই জন করে দায়িত্বপালন করে তাহলে দুই শিফটে মোট ১০০ জন ট্রফিক পুলিশের সদস্য প্রয়োজন। সেখানে দুই শিফটে কাজ করে মাত্র ৫৭‘ জন সদস্য।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো কামাল উদ্দিন জানান, প্রয়োজনের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ জনবল দিয়ে চলছে কুমিল্লা জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। এই শাখায় বর্তমানে কর্মরত আছে ৪৯ জন কনস্টেবল ,৭ জন সার্জেন্ট ও ১ জন পিএসআই। এর মধ্যে ২ জন ট্রাফিক শাখার মুন্সী এবং দাউদকান্দি, লাকসাম ও দেবিদ্বার উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন ৯ জন। এর মধ্যে যদি দুই শিফটে ৪ জন করে ৮জন ছুটি কিংবা অসুস্থ থাকে তাহলে নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল থাকে মাত্র ৩০ জন। তাহলে একশিফটে কুমিল্লা নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য থাকে মাত্র ১৫ জন। যারা সার্জেন্ট বা উপ-পরিদর্শক হিসেবে আছেন তারা ঘুরে ঘুরে এই জায়গা গুলো পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এই জনবল দিয়ে নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো খুবই কষ্টকর।

সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু জানান, এত কম জনবল নিয়ে কুমিল্লা নগরীর সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্ভব না। কুমিল্লায় যে হারে যানবাহন বাড়ছে গুরুত্বপূর্ন মোড়গুলো প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশ থাকা আবশ্যক। না হলে দিন দিন নাগরিক ভোগান্তি বেড়েই চলবে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আরো পুলিশ সদস্য বরাদ্দ পাবার বিষয়টি কেন্দ্রিয় ভাবে সিদ্ধান্তের বিষয়। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য কুমিল্লায় জনবল বাড়াতে হবে। শুধু ট্রাফিক ব্যবস্থায় পুলিশ বাড়ালেই হবে না সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থাপনারও উন্নয়ণ করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads