• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
এমপি'র দেওয়া ঘর পেল ঘোড়াঘাটের ১০টি পরিবার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এমপি’র দেওয়া ঘর উপহার পেয়ে খুশি দুই বৃদ্ধা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

এমপি'র দেওয়া ঘর পেল ঘোড়াঘাটের ১০টি পরিবার

  • ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ অক্টোবর ২০২০

ক্যালেন্ডারের পাতায় বাংলা আশ্বিন মাস। তবুও টানা সপ্তাহ খানেক এক নাগারে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবার কারণে মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়েছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রায় ১০টি পরিবার। এমন মানবেতর পরিস্থিতিতে এসব অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শিবলী সাদিক।

প্রথমে উপজেলার প্রতিটি গ্রাম থেকে খুঁজে খুঁজে বৃষ্টি পানিতে জলাবদ্ধতা জনিত কারণে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারের তালিকা তৈরি করে ঘোড়াঘাট পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেই তালিকা অনুযায়ী ব্যক্তিগত অর্থায়নে এক রুম বিশিষ্ট টিনশেড ঘর তৈরি করে এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে উপহার দিয়েছেন সাংসদ শিবলী সাদিক।

নতুন ঘর উপহার পাওয়া পরিবার গুলো হলো, পৌর এলাকার কলেজপাড়া গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৬৫), মৃত অমেন্দ্রনাথের স্ত্রী শান্তি রানী (৬০), মৃত শফিউল ইসলামের স্ত্রী মালেকা বেগম (৬২), মৃত আব্দুল হাকিমের স্ত্রী মল্লিকা বেগম (৭০), মৃত ডেভিড সরেনের স্ত্রী ইভা হেমরম (৫০), হবিবর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫৫), নয়াপাড়া গ্রামের মৃত কছিম উদ্দীনের ছেলে ফকর উদ্দীন (৬০),ফফিজ উদ্দীনের ছেলে জয়দুল (৪০), মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে কাশেম (৪৩), পালশা বিলপাড়া গ্রামের মৃত ফারাজ উদ্দীনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক (৭০)।

ওসমানপুর কলেজপাড়া গ্রামের সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধা মল্লিকা বেগম বলেন, ‘বৃষ্টির পানিত হামার ঘর ভাঙ্গা গেছে। হামি মানসের বাড়িত থাকা বেড়াচ্ছি। হামার এমপি হামাক মাথা গোজার একটা ঠাঁই করে দিল।’

নয়াপাড়া গ্রামের বৃদ্ধা আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘হামার পুরা ঘর বৃষ্টির পানিত মিশা গেছে। এমপি মোক ঘর করে দিচ্ছে। আল্লাহ মোর হায়াৎ মোর এমপি'ক দিক। এমপি যুগ যুগ বাঁচা থাকুক।’

পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন জানান, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ নিতে এমপি ঘোড়াঘাটে এসেছিলেন। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা করতে এবং তাদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিক ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন এমপি শিবলী সাদিক।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেরা উপস্থিত থেকে কয়েকজন শ্রমিকের সহযোগীতায় ঘর গুলো তৈরি করেছি। এমপির কড়া নির্দেশনা ছিল! যাতে করে ঘর গুলো দ্রুত সময়ে মজবুত ভাবে নির্মান করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে উপহার দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads