• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
অটো রিকশায় স্থবির পৌর শহর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

অটো রিকশায় স্থবির পৌর শহর

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ইজিবাইক আর ব্যাটারী চালিত অটো-রিকশা চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে গড়ে উঠছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইজিবাইক আর ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশার স্ট্যান্ড। কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা তাদের দৌরাত্ম্য। ওইসব যানবাহন শহরে যত্রতত্র ভাবে রাখার ফলে নিত্যদিন শহরে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যত্রতত্র ভাবে রাখা আছে অসংখ্য ইজিবাইক আর ব্যাটারি চালিত অটো-রিকসা। শহরের প্রবেশ পথে মায়াবি সিনেমা হল, দুতলা মসজিদ, পৌরসভা, ঢাকা হোটেল, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর, লালবাজার, বাইপাসসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ইজিবাইক সিএনজি আর ব্যাটারি চালিত অটো-রিকসা সড়কের উভয় পাশে ও ফুটপাতে বিভিন্ন ফল ফলাদির পানের দোকান, চা স্টল থাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগে আছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের রাখা মোটর সাইকেল গুলো যত্রতত্র রাখায় যানজট যেন আরো বাড়ছে। যানজটের কারণে পথচারীদের পায়ে হেটে চলার ও যেন কোন উপায় নেই। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের বিব্রতকর অবস্থায় তাদের পড়তে হচ্ছে।

এদিকে দুতলা মসজিদ থেকে একটি সড়ক আখাউড়া চান্দুরা-আখাউড়া সুলতানপুর, রেলওয়ে স্টেশন ও স্থল বন্দরে দিক চলে গেছে। প্রতিদিন শতশত স্কুল কলেজ ,মাদ্রাসার, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, চাকুরীজিবী, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ট্রেন যাত্রীসহ অসংখ্য পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়।

সড়ক বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, এমনিতেই সড়ক বাজার একটি ব্যাস্ততম এলাকা। সব সময় মার্কেটের সামনে সিএনজি ,অটো রিকসা, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকদের মোটর সাইকেল রাখায় যানজট সৃষ্টি করছে। ফলে আমাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে অটো-রিকসার স্ট্যান্ড সরিয়ে যানজট মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানায়।

পথচারী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, যানজনের কারণে চলাচলের জন্য ফুটপাত ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু ফুটপাত দিয়ে এখন চলাচল খুবই কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। পাচঁ মিনিটের রাস্তা যেতে ১৫মিনিটের উপরে সময় লাগে। যানজটের কারনে অনেক সময় ট্রেন ও হারাতে হয়।

পথচারী আকবর হোসেন বলেন, রাস্তার দু পাশ ভ্যান গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন ফলের দোকান গড়ে উঠা ও যত্রতত্র যানবাহন রাখায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

মো.খোরশেদ আলম বলেন, এক সময় শহরে পায়ে চালিত রিকসার ছিল। লোকজন এইসব রিকসা চড়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়ত করত। তবে শহরে কোন প্রকার দুর্ভোগ সৃষ্টি হত না। তাদের মধ্যে একটা শৃঙ্খলা ছিল। কিন্তু ইজি-বাইক আর অটো-রিকশা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, এ পৌর সভায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যানবাহন ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে যানজট মুক্ত রাখতে যা যা দরকার সময় সাপেক্ষে সব বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে শহরের যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ট্রাফিক পুলিশ চাওয়া হয়েছে বলে জানায়।

আখাউড়া থানার অফিসর ইনচার্জ (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী বলেন, শহরে যানজট মুক্ত রাখতে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads