পিরোজপুরের কাউখালীতে অসহায় আশ্রয়হীন নারী ধর্ষণের প্রধান আসামি শাহজালাল(৪৮)কে মংলা থানা পুলিশের সহায়তায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কাউখালী থানা পুলিশ আটক করে। শাহজালাল উপজেলার বাশুরী গ্রামে নবীর উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার নেছারাবাদ উপজেলার গোনম্যান গ্রামের এক তরুণীর সাথে গত এক বছর আগে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার এক নবমুসলিম যুবকের (৩০) সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়। ওই যুবক নবমুসলিম হওয়ায় তরুণীর পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয় নি। কিন্তু গত ২২দিন আগে ওই নবমসুলিম যুবক তার স্ত্রী সহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামের জনৈক নাছির মাস্টারের বাড়িতে ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নেহেরু বেগমের সহায়তায় ভাড়ায় থাকার কথা বলে থাকতে শুরু করেন। আর ওই বাড়ির মালিক নাছির মাস্টার থাকেন উপজেলা সদরের বাড়িতে। এ সময় নবমুসলিম ওই দম্পতির মধ্যে কলহ হয়। এর জের ধরে নবমুসলিম যুবক স্ত্রীকে ফেলে কয়েক দিন গা ঢাকা দেন। এ সুযোগে স্থানীয় নবীর উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জালাল হোসেন হাওলাদার (৪৫) ওই নবমুসলিম দম্পত্তির মধ্যে কলহ মীমাংসার কথা বলে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে ওই তত্ত্বাবদায়ক নেহারু বেগমের কাছ থেকে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে ওই গৃহবধুকে নাছির মাস্টারের নির্মানাধীন একটি ভবনে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই গৃহবধুর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ধর্ষক জালাল হোসেন এ সময় পালিয়ে যায়। ভূক্তভোগী ওই গৃহবধু ঘটনার দিন শাহ জালালের নামে ধর্ষণের অভিযোগে কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ৪৮ ঘন্টা মংলায় কাউখালী ও মংলা থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ২ সন্তানের জনক শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
