নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সুলেমা আক্তার (২৩) নামে এক নববধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুলেমাকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী হৃদয়। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার সঞ্জিব দত্ত। এ সময় তার স্ত্রী ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে হৃদয়। তবে পুলিশকে খবর না দিয়ে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে আসায় এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
সুলেমা উপজেলার কলেজ রোডের আবদুস ছাত্তারের মেয়ে। সে মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী। আর তার স্বামী হৃদয় পৌরশহরের দৌলতপুরের গরুহাট্টা এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে। পারিবারিকভাবে দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হলেও গত ১১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেয় হৃদয়। সুলেমা তিন মাসের অন্তস্বত্তা বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এ ঘটনায় রাতেই মেয়ের বাবা আবদুস ছাত্তার বাদী হয়ে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী হৃদয়, শাশুড়ি ফরিদা বেগম, দেবর জয় ও তার ভগ্নিপতি জামাল এই চারজনকে আসামি করে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা আবদুস ছাত্তার জানান, মেয়েকে ঘরে তুলে নেয়ার পরই যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিল হৃদয় ও তার পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করার পর সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হৃদয় ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।