• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
লৌহজংয়ে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৭ মেট্রিক টন মা ইলিশ জব্দ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

থরে থরে ককসিট বাক্সে ইলিশ আর ইলিশ

লৌহজংয়ে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ৭ মেট্রিক টন মা ইলিশ জব্দ

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০২০

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রায় সাড়ে ৭ মেট্রিক টন মা ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে লৌহজংয়ের কলমা ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের সেন্টু সর্দারের বাড়ি হতে মা ইলিশের এই বিশাল চালনটি জব্দ করা হয়।

লৌহজং উপজেলা সহকারী কশিমশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. রাশেদুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্ত্বিতে সোমবার বিকেলে লৌহজংয়ে কলামা ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের সেন্টু সর্দারের বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় সেন্টু সর্দারের একটি ঘর তালাবন্ধ পাওয়া যায়। তথ্য মতে ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে দেখা যায় সারি সারি ককসিটের বাক্স। যার প্রতিটি স্কটটেপ দিয়ে মুখ বন্ধ ছিল। বড় বড় এক কটসিট খুলে দেখা যায় থরে থরে মা ইলিশ বরফের নিচে মজুদ করা হয়েছে। মোট ৫৯টি বড় আকারের ককসিটের বাক্সে এ সকল ইলিশ রাখা ছিল। প্রতিটি বাক্সে প্রায় ১শ’র উপরে মাছ রয়েছে। যার ওজর হবে প্রায় সাড়ে ৭ টনের মত। টাকার অংকে এসকল ইলিশের মূল্য হবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। তবে এ অভিযানের সময় মজুদকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো জানান, সরকার যখন ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের নদনদীতে মা ইলিশ ধরা নিষেধ করেছে, তখন পদ্মা মেঘনায় এক শ্রেণীর মৌসুমী জেলে এ সব মা ইলিশ শিকার করছে। আমরা প্রায় প্রতিদিন নদীতে অভিযান চালিয়ে জেলেদের জেল জরিমানা করছি। তারপরেও এদের থামানো যাচ্ছেনা। তবে যেখান থেকে এসকল ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে এটা কোন জেলে বাড়ি নয়। এরা এক শ্রেনীর মৌসুমী ইলিশ ব্যবসায়ী। এরা অসৎ জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ ধরা বন্ধের এসময়ে অল্পদামে এসকল ইলিশ কিনে ওই ঘরটিতে মজুদ করেছিল।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, আমরা ইতিপূর্বে উদ্ধারকৃত মা ইলিশ লৌহজংয়ের প্রায় প্রতিটি এতিম খানায় বিলি করেছি। উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা চিন্তা করেছি যেহেতু প্রচুর ইলিশ, তাই এবার এসকল ইলিশ উপজেলার বাইরে জেলার অন্যান্য উপজেলার মাদ্রাসা ও এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে।

এ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. রাশেদুজ্জামান ছাড়াও আরো অংশ গ্রহন করেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইলিয়াছ শিকদার, লৌহজং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস তালুকদার, উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা এমরান তালুকদারসহ সরকারী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads