পাবনা পল্লী বিদ্যু সমিতি-১ (চাটমোহর) এর আওতায় চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও তাড়াশ উপজেলার বিল এলাকায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎ লাইনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, হরিপুর, বিলচলন, ভাঙ্গুড়ার খানমরিচ, দিলপাশার ও অষ্টমণিষা, ফরিদপুরের বৃ-লাহিড়ীবাড়ি, হাদল, ফরিদপুর, ও তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে বিলের মধ্যে বিদ্যুতের দুই পোলের মাঝে ঝুঁকে পড়া লাইনের তার এবং পানির দূরত্ব ৩/৪ ফুটের বেশি হবে না।সমিতি কর্তৃপক্ষ এ কারণে এ এলাকায় প্রতিদিন দু’ঘন্টা বিদ্যু সরবরাহ বন্ধ রাখছে।
পল্লী বিদ্যু সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম খান বলেন, ওই এলাকায় দুই পোলের মাঝে ঝুঁকে পড়া লাইনের তার এবং পানির দূরত্ব কম। এ কারণে অবাধ নৌচলাচলের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানী বা নৌ-দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পিলারের ধার দিয়ে নৌ চলাচল করতে নৌযান মালিকদের সতর্ক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পোলের সাথে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল নিশান। সেই সাথে পিক আওয়ারে অধিক নৌকা চলাচল করায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা হতে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এখানে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল ও ছাইকোলা ইউনিয়নের বিল এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পানির কাছাকাছি বিদ্যুতের তার ঝুলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ পোলে টাঙানো হয়েছে লাল নিশান।
এরপরও নৌযান মালিক বা মাঝি ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করছে। অনেক ক্ষেত্রেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। নৌকার মাঝি আহম্মদ আলী জানান, প্রতি বছরই এ রকম অবস্থা হয়। এবার দেখছি পল¬ী বিদ্যুৎ লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। এটা ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এএইচএম কামরুজ্জামান খোকন জানান, মাইকিং করার পাশাপাশি, বিভিন্ন নৌঘাটে সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ পোলে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছে। নৌযান মালিক ও চলনবিলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সচেতন করছি। তিনি জানান, গত বছরও একাধিক নৌ-দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।