পটুয়াখালীর দুমকিতে মায়ের সাথে পথচারী ৫বছরের এক শিশুকে চাপা দিয়ে দ্রুত বেগে পালানের চেষ্টাকালে গাড়ীসহ সওজ’র প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় পটুয়াখালী নূর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুর অবস্থা আশংকাজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাজাখালীর ফার্মগেট সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রাজাখালী গ্রামের জনৈক ছালাম শরীফের ছেলে সায়েম (৫) তার মায়ের সাথে ওই সড়ক পথে নানাবাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় বাউফল থেকে আসা দ্রুতবেগের (ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-৩০০৪) নম্বরের প্রাইভেট কারটি শিশু সায়েমকে চাপা দিয়ে সটকে পড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা দুমকি থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ অন্তত: ৩০মিনিট ধাওয়া করে পটুয়াখালী টোল ঘর এলাকায় গাড়িটি আটক করে। গাড়ির চালক নিজেকে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: জাহিদুল ইসলাম মুন্না বলে পরিচয় দেয়। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাড়ীসহ ওই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে নূর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ শিশু সায়েমের ১৬ঘন্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি। আহত শিশুটির বাম পায়ের হাড় পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে। তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। সিটিস্ক্যান রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার অবস্থার কথা বলা যাচ্ছেনা বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ সেলিম মাতুব্বর জানিয়েছেন।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, শিশু সায়েমের মা সালমা বেগম বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। ওই অভিযোগে গাড়ীসহ উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম মুন্নাকে আটক দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাড়িটি ব্যক্তিগত হলেও গাড়ীর সামনে এবং পিছনে সড়ক ও জনপদের স্টীকার লাগানো আছে। খবর পেয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন রাতেই আহত শিশুকে নুর জেনারেল হসপিটালে দেখতে গিয়ে জানান, আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।