টেকনাফ নাফনদী সাবরাং সীমান্তে বিজিবির সাথে গোলাগুলির ঘটনায় এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমান বস্তাভর্তী ইয়াবা।
বিজিবির পাঠানো প্রেস বার্তায় জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত সাবরাং ইউনিয়ন নাফনদী ১নং সুইচ গেইট পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান বাংলাদেশে উপকুলে প্রবেশ করবে বলে জানতে পারে বিজিবি।
উক্ত গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী সাবরাং বিওপিতে কর্মরত ২ বিজিবি সৈনিকদের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার জন্য অবস্থান নেয়। কিছুক্ষন পর বিজিবি সদস্যরা সন্দেহজনক তিন জন ব্যক্তিকে একটি নৌকা নিয়ে মিয়ানমার নাফনদী শুন্য রেখা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে। এরপর বিজিবি তাদেরকে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দেয়। স্বশস্ত্র মাদক পাচারকারীরা কথা অমান্য করে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন শুরু করলে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাদক পাচারে জড়িত দুই অপরাধী নাফনদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর দিবাগত গভীর রাত ২টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রনয় রুদ্র তাকে মৃত ঘোষনা করে। তবে নিহত মাদক ব্যবসায়ীর কোন এলাকার তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ধারনা করা হচ্ছে সে মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা!
এদিকে বিজিবি সদস্যরা ইয়াবা পাচারে ব্যবহার হওয়া একটি নৌকা জব্দ করে তার ভিতর থেকে ২ লাখ,১০ হাজার ইয়াবা,দেশীয় তৈরী ১টি অস্ত্র,২ রাউন্ড গুলির খালী খোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটলিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) বলেন, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা প্রতিরোধে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। মাদক ব্যবসায় জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিজিবি সৈনিকদের চলমান এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।