• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
বিনোদন কেন্দ্র হচ্ছে ডিএনডি লেক

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

বিনোদন কেন্দ্র হচ্ছে ডিএনডি লেক

  • আব্দুল কাইয়ুম, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) 
  • প্রকাশিত ০২ ডিসেম্বর ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জের রূপ বদলের কাজ করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে ডিএনডি লেক। সৌন্দর্যবর্ধনে লেকটিতে তৈরি করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ছয়টি সেতু। পাশে বিনোদন মঞ্চ। থাকবে ওয়াকওয়ে।

জানা গেছে, আট নম্বর ওয়ার্ডের গোদনাইল ভাঙ্গারপুল থেকে সাত ও এক নম্বর ওয়ার্ড হয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডের শিমরাইল গলাকাটা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার ডিএনডির মূল খাল পুনঃখনন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দুই ভাগে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় হবে। জাইকার অর্থায়নে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে মেসার্স উদয়ন বিল্ডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের কাজ করছে। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মে দুই ধাপে মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন। কাজ শেষ করতে ১৫ মাস সময় নির্ধারণ করা হয়। চলতি ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকায় সময় বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি আবার কাজ শুরু হয়েছে। সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের (সিজিপি) অধীন ডিএনডি সেচখালকে সৌন্দর্যবর্ধন করে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ৬৩ কোটি ৪৮ লাখ, খালের ওপর ছয়টি সেতু নির্মাণের জন্য ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। লেকটিতে হাতিরঝিলের আদলে তিনটি লোডেড এবং তিনটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজগর হোসেন বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

সূত্র মতে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ১৯৬২ সালে কৃষি কাজের জন্য ৫৭ বর্গ কি.মি এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা (ডিএনটি) বাঁধ। যার  ভেতরে একটি সেচখাল ও ৯৪ কি.মি নিষ্কাশন খাল খনন করা হয়। কালের বিবর্তনে ডিএনটি এলাকায় গড়ে উঠে বসতি ও শিল্পকারখানা। বর্তমানে অন্তত ২২ লাখ মানুষ বসবাস করছে ডিএনডি এলাকায়। পানি নিষ্কাশন খাল দখল, ভরাট ও অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের ফলে জলাবদ্ধতাসহ সৃষ্টি হয় নানা জনদুর্ভোগ। সৌন্দর্য হারায় এলাকাটি। বসতি গড়ে উঠায় বিনোদনের জায়গাও হারিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের কাজ করছে সেনাবাহিনী। ডিএনডি এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে উঠায় শ্রমিকের পদচারণ লক্ষণীয়। তার মধ্যে উল্লিখিত আদমজী ইপিজেড। বেপজার তথ্য মতে, ইপিজেডে ৬২ হাজারের আধিক শ্রমিক কাজ করেন। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ শিল্প কারখানায় কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করছেন। বিনোদনের জায়গা না থাকায় সময় পেলেই তারা ছুটে যায় দূর-দূরান্তে। কিন্তু স্বল্পআয়ের লোকজনের পক্ষে দূরে যাওয়া সম্ভব হয় না। চলমান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সবার জন্য ডিএনডি লেকটি বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads