• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কলমাকান্দায় প্রকৌশলী দফতরের ১৯ পদের মধ্যে ১১টিই শূন্য

  • কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০২০

নেত্রকোণার কলমাকান্দার স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এল,জি,ই,ডি) গুরুত্বপূর্ন ১১ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এর ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রমে গতি কমে যাওয়ার পাশাপাশি কর্মরতদের অতিরিক্ত চাপ বহন করতে হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে ঠিকাদারদেরও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

কলমাকান্দা উপজেলা এল,জি,ই,ডি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দফতরের ১৯টি পদের মধ্যে ১১টি পদ শূন্য রয়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় এই উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ দফতরের পদে জনবল না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট লোকজনদের। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের গতিও কমে গেছে জনবল না থাকার কারণে। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ যে সমস্ত পদ শূন্য রয়েছে তা হলো- সহকারী উপজেলা প্রকৌশলী একজন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী দুইজন, কার্য্য-সহকারী তিনজন, হিসাব রক্ষক একজন , হিসাব সহকারী একজন , অফিস সহকারী একজন, কমিউনিটি অর্গানাইজার একজন ও নৈশপ্রহরী একজনসহ ১১ টি পদ শূন্য রয়েছে।

এছাড়াও সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পদে নির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল না থাকায়। বর্তমানে প্রায় ৭৪ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ চলছে উপজেলায়। এর মধ্যে ৪৫টি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে উপজেলা প্রকৌশলীর দফতরের নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও উপজেলায় জেলা এলজিইডির ৩টি ব্রীজও সড়কসহ উন্নয়নমূলক সব কাজ দেখভাল করতে হচ্ছে উপজেলা প্রকৌশলী ও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে। এতে করে তাদের দায়িত্ব পালনে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের তদারকিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। সব সামলাতে হচ্ছে দুই প্রকৌশলীকে।

ঠিকাদার কাজল দে সরকার জানান , দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে লোকবল না থাকায় তাদেরও বেশ সমস্যা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শুরু ও শেষ করতে পারছেন না। কাজের চাপ থাকায় প্রকৌশলীরাও সময় দিতে পারছেন না। তাদের উপস্থিতিতে কাজ করার বিধান থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে তাদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিন জনবল সঙ্কট থাকা ও কিছু সমস্যা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে কাজ করতে খুবই হিমশিম খেতে হয়। দাফতরিক কাজ ছাড়াও মাঠে গিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের তদারকি করতে হচ্ছে। অনেক সময় রাতের বেলায়ও দাফতরিক কাজ করতে হয়। জনবল সঙ্কটের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি দ্রুত পদগুলো পূরণের দাবি জানান।

এব্যাপারে নেত্রকোণা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মনিরুজ্জামান এর নিকট মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads