• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
হালুয়াঘাট ধোবাউরা হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

হালুয়াঘাট ধোবাউরা হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

  • হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ ডিসেম্বর ২০২০

আজ ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী, ছাত্র, কৃষক ও আমজনতা সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে এই অঞ্চল দুটিকে শত্রু মুক্ত করে স্বাধীন করে। পরে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী ও সাধারণ মানুষ মিছিল বের করে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। এরপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুলে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা মাতিয়ে তুলে সীমান্তবর্তী এই দুই উপজেলা।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের মেঘালয়বর্তী ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ের উপজেলা হালুয়াঘাটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে উঠে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ। এছাড়া, অঞ্চল ভিত্তিক আন্দোলন সংগ্রামও পরিচালিত হয়।

৭ ডিসেম্বর হালুয়াঘাটের আঞ্চলিক সংগঠক প্রয়াত কুদ্রত উলাহ মণ্ডল উপজেলার ভূমি অফিসের সামনে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মিলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে।শত্রু মুক্ত হয় হালুয়াঘাট।

জানা যায়, ধোবাউড়া উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দক্ষিণে স্থানীয় তাড়াইকান্দি গ্রাম। এ গ্রামেই পাকিস্তানি হানাদাররা নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হোসাইন ও মুক্তিযোদ্ধা মো. মমতাজুর রহমান খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এ অঞ্চলটি মুক্ত করে।

হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া শত্রু মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল হালুয়াঘাট উপজেলা প্রশাসন পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, র‌্যালি, স্মৃতিসৌধে মাল্যদান শপথ গ্রহণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।এ এছাড়াও  উক্ত অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,  সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads