• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

মুজিব বর্ষে আরেক অর্জন আত্রাই হাসপাতালের

  • আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

জাতি যখন মুজিববর্ষ এবং মহান বিজয় দিবস পালনের উল্লাসে উল্লোসিত ঠিক সে সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.রোকসানা হ্যাপির তত্ত্বাবধানে আরেক বিজয় এনে দিলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নভেম্বর মাসের ম্যানেজমেন্ট ও সেবাদান কার্যক্রমের রিপোর্টে এ হাসপাতাল জেলায় ১ম, বিভাগে ৫ম এবং সারাদেশে ৫০ স্থান অর্জন করেছেন যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লগ্নে প্রথম বলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান ডা. রোকসানা হ্যাপি। এদিকে প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম নিয়ে বৈশিক করোনা পরিস্থিতির মাঝেও আন্তরিকতার সাথে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন ডাক্তার অনুমোদন থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৭ জন। যে কারনে উপজেলার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠির চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে এ অল্প সংখ্যক চিকিৎসককে। করোনা সংকটের প্রথমে কিছুটা রোগী কম হলেও গত চার/পাঁচ মাস থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে প্রতিদিন আড়াই/তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা গ্রহন করছেন। এ ছাড়াও ইনডোরে চিকিৎসারত থাকছে অনেক রোগী। বর্তমানে এ সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়ে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। ইনডোরেও দেখা গেছে রোগীর সংখ্যা খুবই বেশি। অধিকাংশ বেড রোগীতে পূর্ণ হয়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেয়ের মাঝেও চিকিৎসকদের সৌজন্য মূলক আচরণের কারনে রোগীরা এখানে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলার কালিকাপর গ্রামের গর্ভবতী মর্জিনা বেগম বলেন, আত্রাই হাসপাতাল পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন। লোকবল কম তারপরও তারা আন্তরিকতার সাথে সাধ্যমত হাসিমুখে সব সেবা দেন। আমরা তাদের সেবায় সন্তুষ্ট। এখানে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু স্বাভাবিক ডেলিভারির ব্যবস্থা বেশ ভাল।

উপজেলার মনিয়ারী গ্রামের সুমন বলেন, এখানে সব সেবার মান খুবই ভালো। কিন্তু জনবল সংকটে কর্মরতরা বিশাল জনগোষ্ঠিকে সেবা দিতে হিমশিম খান। এখানে ১৫ জন চিকিৎসকের পদ পূরণ করা হলে আরো মানসম্মত সেবা পেয়ে উপকৃত হবেন এলাকাবাসী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রোকসানা হ্যাপি বলেন, এ বিজয় আত্রাই বাসীর। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সবার সহযোগিতায় করোনার দ্বিতীয় ঢেও সামলিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত ১২ জন রোগীকে এ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালের সেবিকা এবং স্বাস্থ্য সহকারী ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সুস্থ্য তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads