• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
শুষ্ক মৌসুমের আগেই পানিশূন্য গাজনার বিল

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

শুষ্ক মৌসুমের আগেই পানিশূন্য গাজনার বিল

  • পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

পাবনার খরস্রোতা ঐতিহাসিক গাজনার বিল শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। শুধু বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্যানালে কিছুটা পানি থাকলেও বিশাল বিস্তীর্ণ বিলের কোথাও পানি নেই। ফলে বিলপাড়ের মৎস্যজীবী ও কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

জেলার সুজানগর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গাজনার বিলপাড়ের বোনকোলা গ্রামের তায়জাল খান জানান, একসময় বিলটিতে সারা বছর পানি থই থই করতো। সে সময় বিলের পানিতে রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, কই, বোয়াল, পাবদা, নয়নাসহ নানা প্রজাতির দেশী মাছ পাওয়া যেত। মাছ আর পানি ছিল তখন সমান সমান। সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মৎস্যজীবী তখন বিল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গাজনার বিলের মাছ সে সময় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাবনাসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হতো।

বিলপাড়ের উলাট গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি বিলপাড়ের কৃষকেরা সেচনালার মাধ্যমে বিল থেকে পানি নিয়ে জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতেন। এলাকার ব্যবসায়ীরা সারা বছর ওই বিল দিয়ে বড় বড় নৌকাযোগে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ধান ও পাটসহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা করতেন। অথচ সময়ের পরিক্রমায় খরস্রোতা গাজনার বিল এখন একটি শীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। ফলে বর্ষা শেষে শুষ্ক মৌসুমে বিলের ক্যানালে ছাড়া আর কোথাও একবিন্দু পানিও পাওয়া যায়না। এতে বিলপাড়ের ওসব মৎস্যজীবী এবং কৃষকেরা মাছ শিকার এবং সুষ্ঠুভাবে ফসল আবাদ করতে না পাড়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী অভিযোগ করেন, ৭/৮ বছর আগে বিলে সারা বছর পানি ধরে রাখাসহ বিলের বিভিন্ন উন্নয়নে প্রায় সাড়ে ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বিল পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।

এব্যপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, গাজনার বিল যাতে এলাকার মৎস্যজীবী এবং কৃষকদের কল্যাণ বয়ে আনে-সে ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads