ঝিনাইদহের পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ টিমের রিপোর্টার বনি আমিন, প্রযোজক ও ঝিনাইদহে যাওয়া অন্য সদস্যদের নামে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকালে মামলাটি করেছেন ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ। তিনি যশোর উপশহর এফ ব্লক এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন যশোর জোনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।
মামলার বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি গত তিন বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ঝিনাইদহে চাকরি করে আসছেন। গত ৫ ডিসেম্বর তালাশ প্রোমো অনুষ্ঠানের ব্যানারে ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচার করেন। যার শিরোনাম ছিল লাখ টাকার চামচ। সেখানে একটি চামচের দাম বলা হয়েছে ৯৯ হাজার টাকা। মামলায় বলা হয়েছে অনুমোদিত ও এস্টিমেটে ওই চামচের কোনো অস্তিত্ব নেই। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ ও ২০২০ অর্থ বছরে অফিসে ও পরিদর্শন বাংলোর জন্য ক্রোকারিজ ও পরিষ্কার মালামালের ১৮ আইটেম সাপ্লাইয়ের জন্য ব্যয় হয়েছে ৯৭ হাজার টাকা। প্রচার করা হয়েছে ৪ প্যাকেট মবিল গ্রিজের দাম চার লাখ টাকা। যা সত্য নয়। এখানে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি বলে বাদীর অভিযোগ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ নভেম্বর যশোর শহরের একটি শপিং কমপ্লেক্সের মধ্য থেকে বাদীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। এসময় রিপোর্টার বনি আমিন বাদীর কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করেন। এসময় তা দিতে বাদী অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। এছাড়া গত ১২ ডিসেম্বর বাদী এ বিষয়ে আসামিদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। এরপরেও গত ১২ ডিসেম্বর তালাশের ১৯৭ পর্বে ঝিনাইদহের পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করে আসামিরা। এতে করে তার শুধু নয় পুরো ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
