• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

আখাউড়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ জানুয়ারি ২০২১

আখাউড়ায় তীব্র শীত ঘন কুয়াশার আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কারনে পৌর শহরসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ছিন্নমুল, অসহায় হতদরিদ্র লোকজনের দূর্ভোাগ চরমে উঠেছে। তবে দিনের বেশী ভাগ সময় কুয়াশায় ডাকা পড়ে থাকে সূর্য। মাঝে মধ্যে সুর্যের খানিক আলোর দেখা মিললে ও তা থাকছে নিরুত্তাপ। তীব্র শীতের কারনে দরিদ্র, দিনমজুর কর্মজিীবী মানুষেরা কর্মহিন হয়ে পড়েছে। মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে দেখা দিয়েছেস্থবিরতা । প্রচন্ড শীতের কারনে সন্ধ্যার পরপরই রাস্তা ঘাট হাট বাজার জনশুন্য হয়ে পড়ছে। ছিন্নমুল,অসহায় হতদরিদ্র লোকজন খরকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বয়বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশী।

আখাউড়া স্থাস্ব্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারনে ডায়রিয়া,নিউমোনিয়া,শ্বাস কষ্ট জনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। শীতের কারনে জবুথবু হয়ে পড়ছে প্রাণিকুল ও।

পৌর এলাকার মো. দিদার মিয়া বলেন, তীব্র শীত ও কুয়াশা থাকায় গত ২ দিন ধরে কাজ করতে পারছি না। এ অবস্থা চললে আমাদের মতো গরিবদের চলাচল খুবই কষ্ট হয়ে উঠবে।

কৃষক মো. ফরিদ মিয়া বলেন, জমিতে চলতি মৌসুমের বোরো ধান আবাদ শুরু হয়েছে। কিন্ত তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা থাকার কারণে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

রিকসা চালক মো. হোসেন আলী বলেন, প্রতিদিন রাত ১২-১টা পযর্ন্ত রিকসা চালাই। কিন্ত গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও কুয়াশা থাকায় সন্ধ্যার পর চলে আসি। সিএনজি চালক রফিক মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইটে কিছু দেখা যায় না গাড়ি চালাতে ভয় করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অন্ত:ত ৫০-৬০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি নেই বলে জানায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads