কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর মৌজায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর বাঘৈর এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার এর বিপরীত সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্থানীয় হাজী মেছবাউদ্দিন বাবুল এর নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতে ঘন্টা ব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এটা আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তি, এবং আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করি কিন্তু এখানে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে মাদকসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হবে। এ জন্য প্রতিদিন আমাদের ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বসবাস করতে হবে। এবাস টার্মিনাল হলে ধুলো বালি, সকাল বিকাল খেতে হবে, রোগব্যাধিতে পড়তে হবে। আমরা আমাদের সন্তানদের এতবড় ক্ষতি চাই না।
স্থানীয় সাহিনুর বেগম বলেন,আমরা গরিব মানুষ, আমাদের এতটুকুই বসত ভিটা, সরকার আমাদের এ জায়গাটা নিয়ে গেলে আমাদের কোন উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, আমাদের প্রান চলে যাবে। আমরা এ আন্তঃ জেলা বাসস্ট্যান্ড করতে দেব না। সরকারের নিকট আকুল আবেদন এই আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড অন্যাত্র যায়গায় স্থানান্তর করে আমাদের অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করুন।
সালমা নামে ভূমির মালিক বলেন, সরকার আমাদের জায়গা নিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাসস্থান করে দিছে। আর আমার অল্প টুকু জায়গা আছে সেই জায়গা আমি বসবাস করবো। সে যদি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে বাড়ি করে দিতে পারে। আমরা কি দোষ করেছি। আমরা আমাদের জায়গায় কোন ভাবে এটা হতে দিব না।
তেঘরিয়া ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাজি আবুল খায়ের মেম্বার বলেন, সরকার আমাদের সকল জায়গা ঝিলমিল,কারাগার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, র্যাব, ঢাকা মাওয়া সড়ক, রেল স্টেশন করে নিয়েছে। সবই তো আমাদের জায়গা বাকি আছে বাঘৈর এই মৌজার জমিটুকু এখানে আমরা বসবাস করি চারদিকে বাড়িঘর এখানে বাসস্ট্যান্ড করা যুক্তিযুক্ত নয়। আমরা এটুকু দিলে কিছুই থাকবে না। আমরা বাসস্ট্যান্ডটি অন্যাত্র জায়গায় করার জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করি। জুয়েল নামে এক জমির মালিক বলেন,আমার ঐতিহ্যবাহী বাঘৈর মৌজার চারশ বছরের বসত ভিটা দিব না। এ বাসস্ট্যান্ড হলে যানবাহনের শব্দ,ধূলো বালি কারনে নানান জটিল রোগ থেকে রক্ষা পেতে চাই আমরা।
তিনি আরো বলেন, তেঘরিয়া ইউনিয়নে আরো অনেক খোলামেলা জায়গায় আছে, সরকার যেন সেখানে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করে স্থাপন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা নূরনবী,তেঘরিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহানারা বেগম, ব্যবসায়ী রায়হান মিয়াসহ আরো অনেক।