• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২১

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১২ আগষ্ট ২০২০খ্রিঃ তারিখের পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক অধিগ্রহণকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ এর ধারা-২, উপধারা (গ) তে বর্ণিত বেসরকারী চাকুরীর ৫০% কার্যকর চাকুরী কালের ভিত্তিতে টাইমস্কেলসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি, জেষ্ঠ্যতা ও পদোন্নতি বহাল করনের দাবীতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।

আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ এর সঞ্চালনায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, যুগ্ন আহবায়ক রামকুমার কৈরী, এছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মাসুক আহমদ, গোলাম মাহমুদ চৌধুরী, রহিমা বেগম, লুৎফুর রহমান, মোঃ আইয়ুব আলী, রুফিয়া বেগম প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে মুল ভিত্তি। এই বাস্তবতা অনুধাবন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের দূর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে ও ১৯৭৩ সালে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ৩৭ হাজার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সাল থেকে সরকারের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে মাত্র ৫০০ টাকা বেতনে কর্মরত শিক্ষকদের শ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ আপনি ও ২০১৩ সালের ০৯ জানুয়ারী শিক্ষক মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশের ২৬১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরী জাতীয়করনের ঐতিহাসিক ঘোষনা দিয়ে ১০৪৭৭২ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবারের মাঝে চিরস্বরণীয় হয়ে আছেন।

শিক্ষানীতি প্রণয়নসহ উপরোক্ত ০২টি সময়পযোগী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় প্রাথমিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই বিশাল অর্জনের একক দাবীদার জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকারে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিশাল সাফল্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন এককভাবে ঘরে তুলতে না পারে সেজন্য বর্তমান প্রশাসনের মধ্যে খাপটি মেরে থাকা ভিন্নমতাদর্শের কিছু সংখ্যক আমলা জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের আপনার সরকারের প্রতি বিরুপ মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আকষ্মিভাবে বিধিমালার ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে ৮ বছর পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রশাসন গত ১২ আগষ্ট ২০২০খ্রি: তারিখের এক পত্রে শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাতিল করার ৮ বছর পূর্ব থেকে গৃহিত অর্থ ফেরত দেওয়ার নিদের্শনা দেওয়ায় ৪৮৭২০ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবারের মধ্যে চরমক্ষোপ ও হতাশা সৃষ্টি করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত ১২ আগষ্ট ২০২০খ্রি. তারিখের পত্রটি প্রত্যহার পূর্বক টাইমস্কেল, পি,আর,এল জেষ্ঠ্যতা ও পদোন্নতি বহাল রাখার দাবীতে নি¤œবর্ণিত ৩টি সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অর্থ মন্ত্রণালায়ের ১২ আগষ্ট ২০২০ খ্রি. তারিখের পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক অধিগ্রহণকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি ২ উপবিধি (গ) তে বর্নিত বেসরকারী চাকুরীর ৫০% কার্যকর চাকুরীকালের ভিত্তিতে টাইমস্কেলসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি বহাল রাখা প্রয়োজন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ নভেম্বর ২০২০খ্রি. তারিখে পত্রটিতে শিক্ষকগণ জেষ্ঠ্যতা পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। শিক্ষক (চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ এর বিধি-২ উপবিধি (গ) তে বর্ণিত ৫০% কার্যকর চাকুরী কালের ভিত্তিতে জেষ্ঠ্যতা পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক পদে নিযোগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণকে সরকারীভাবে গেজেটভূক্ত করা প্রয়োজন।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পেশ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads