চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ৯ মাসের মাথায় যৌতুকের জন্য মিশু নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মিশুর স্বামী রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত রাসেল হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ীর উসমান গণির ছেলে।
হত্যার শিকার মিশু মৈশামুড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়া বেপারী বাড়ীর লাল মিয়ার মেয়ে। মাত্র ৯ মাস পূর্বে রাসেলের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মিশু। বিয়ের পর স্বামী ঢাকায় চলে যায়।
নিহত মিশুর মা মরিয়ম বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, শনিবার সকালে মিশু আমাদের বাড়ী থেকে তার শ্বশুর বাড়ী আসে। একই দিন তার স্বামীও ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসে। রবিবার সকালে জামাইদের বাড়ী থেকে ফোন করে মিশু অসুস্থ বলে আমাদেরকে জানায়। আমরা তাদের বাড়ীতে আসলে শুনি মিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালে এসে মিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখি।
তিনি বলেন, মিশুর স্বামী রাসেল, শশুর উসমান গণি, মামা শশুর মহিনউদ্দিন নির্মমভাবে মেরে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
তিনি বলেন, আমার কাছে যৌতুকের জন্য ২ লাখ দাবি করে। আমি ১ লাখ টাকা দিয়েছে। বলেছি কাবিন রেজিস্ট্রি হলে আরো ১ লাখ টাকা দেবো। কিন্তু তার পূর্বে যৌতুকের জন্য তারা আমার মেয়েকে খুন করেছে।
মিশুর স্বামী রাসেল জানান, মিশু রাতে আলাদা রুমে ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তার মুখে দিয়ে লাল পড়তেছে। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, নিহত মিশুর গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। মিশুর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।