• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

গোপালপুর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় নিহত ১, গ্রেপ্তার ৮

  • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে খলিল (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭জন। নিহত খলিল ডুবাইল আটাপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক। এ ঘটনায় রাতেই হত্যাসহ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সহকারী পুলিশ সুপার (গোপালপুর সার্কেল) আমির খসরু জানান, গতকাল সহিংসতায় নিহত খলিলের বাবা নছিমুদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরের ঘটনায় মো. হিরা নামের এক কর্মী অজ্ঞাতনামা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১৫-২০ সমর্থককে আসামি করে মামলা করেন। এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রকিবুল হক ছানা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খলিল নিহত হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রকিবুল হক ছানার নির্বাচনী প্রচারণায় জেলা আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ সন্ধ্যার দিকে গোপালপুর যান। তারা থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন ও তার সমর্থকরা ওই এলাকায় জমায়েত হন। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা ওই এলাকায় নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। পরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা গিয়াস উদ্দিনের বাসা ও দোকানে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ খবর গিয়াস উদ্দিনের নিজ গ্রাম ডুবাইল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে রওনা হয়। পথে সোমেশপুর এলাকায় তাদের ওপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আবারও হামলা করে। এ সময় বিদ্রোহী সমর্থক খলিলসহ ৭-৮জন আহত হয়। পরে খলিলকে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে উত্তেজিত জনতা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিজেদের অফিস নিজেরাই ভাংচুর করেছে। পরে গুজব ছড়িয়ে আমার সমর্থকদের উপর তারা হামলা চালায়। আমার ও আমার ভাইয়ের দোকানে লুটপাট চালায় এবং আমার সমর্থক খলিল (৩৮) কে হত্যা করে।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, ময়নাতন্তের জন্য নিহত খলিল কে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads