• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
জাতীয় পরিচয়পত্রে অপ্রত্যাশিত ভুলে বিপাকে নাগরিক!

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

জাতীয় পরিচয়পত্রে অপ্রত্যাশিত ভুলে বিপাকে নাগরিক!

  • তাজুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সম্প্রতি উপজেলায় বিতরণকৃত জাতীয় (স্মার্ট কার্ড) পরিচয়পত্রে ও পূর্বে বিরতরণকৃত লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ, নাম ও ঠিকানাসহ বিভিন্ন ভূলের অভিযোগ উঠেছে। দেখা গেছে শিক্ষা সনদের সাথে প্রাপ্ত জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনেকটা গরমিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে সম্প্রতি বিতরণকৃত পরিচয়পত্রে ভুল এসেছে। ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, তথ্য গ্রহণকারি ও কম্পিউটার অপারেটরারে দায়িত্বের অবহেলায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি খরচে ভুল সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ২০১৯ সালে নতুন ভোটার হালনাগাদকৃত নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটার হালনাগাদের সময় নিজের জন্ম নিবন্ধন, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও শিক্ষা সালের সাথে মিল রেখে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নাগরিকরা। সদ্য বিতরণকৃত জাতীয় স্মার্ট পরিচয় পত্রে ও অনলাইন সংরক্ষণে থাকা কপি সংগ্রহ করে জানতে পারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ডাটাবেইজে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানাসহ অসংখ্য ভুল রয়েছে। এদের অনেকে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পূর্বে অনলাইন কপি সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র জমা দিলেও তথ্যেগুলো আর সংশোধন হয়নি। এদিকে সনদপত্রের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের মিল না থাকায় হতাশায় ভুগছো নাগরিক।

সৈকত নামের এক নাগরিক জানায়, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় সে জন্ম নিবন্ধন ও একাডেমিক সনদে থাকা তথ্য দিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে। সদ্য স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম ও জন্ম তারিখ ঠিক থাকলেও পিতার নাম ভুল এসেছে। ইসরাফিল নামের একজন জানায়, তার জাতীয় পরিচয় পত্রে ইংরেজি নামের বানান ঠিক থাকলেও বাংলায় ইসরাফিল’র যায়গায় ইসরাফির ও ঠিকানা ভুল এসেছে। রনি, আল-আমিন অভিযোগ করে তাদের নাম ও ঠিকানা ঠিক থাকলেও জন্ম সাল ও তারিখ ভুল এসেছে।

রাকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান, লেবু মিয়া, রাজিবুল হাসান, হাসানুর রহমান, আব্দুর রহিম সহ আরও অনেকের অভিযোগ সদ্য গৃহিত স্মার্ট কার্ডে বিভিন্ন ধরণের ভুল রয়েছে। তারা আরও বলেন, এখন তাদের বিভিন্ন বাহিনীর চাকরির জন্য স্বাক্ষাৎকারে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হবে। পারুল ও শাহানা নামের দুই গৃহিনী জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসে সঠিক তথ্য দাখিলের মাধ্যমে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন করলেও তাদের ডাকঘর জোড়গাছার স্থলে চন্দনবাইশা এসেছে। ৬৫ উবর্ধা আনোয়ার ও ৬০ উবর্ধা মহিলা আমেনা জানান, ভোটার তালিকা হাল নাগাদের সময় দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তাদের ইচ্ছে মতো বয়স দেওয়ায় আজ তারা সরকারের সামাজিক বেষ্টনির সুবিধা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। কম্পিউটার অপারেটর হেলাল জানান, কারিগরি সমস্যার কারণে ভুলগুলো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার স্বাক্ষাৎ না পাওয়ায় কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েছেন নাগরিক সমাজ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads