• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পে বাড়ছে ব্যয় ও সময়

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

পদ্মার তীর রক্ষা প্রকল্পে বাড়ছে ব্যয় ও সময়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ মার্চ ২০২১

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দুই-ই বাড়ছে। সংশোধনী প্রস্তাবটি আজ মঙ্গলবার একনেকে উঠছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১ হাজার ৯৭ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এখন প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ৩১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বাড়িয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা- যা মোট ব্যয়ের ২৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদও বাড়ছে এক বছর। প্রকল্পের মূল অনুমোদিত মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এ পর্যন্ত প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ৫০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা- যা মূল অনুমোদিত ব্যয়ের ৪৬ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ৫৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১২ সালে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেস্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেডের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং ২০১৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। এই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং কারিগরি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মূল প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়। শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষাসহ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে ২০২১ সালের জানুয়ারি আইডব্লিউ ও সিইজিআইএসকে অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত কমিটির সুপারিশে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হয়।

সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে ভাঙনের তীব্রতার জন্য প্রকল্প এলাকায় পুনরায় সার্ভে করে নকশা সংশোধন করা হয়। সংশোধিত নকশা অনুযায়ী জিও ব্যাগের ডাম্পিং ভলিউম ৭৬ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৭৬ থেকে ১৩২ ঘনমিটার এবং ব্লকের ডাম্পিং ভলিউম ২৫ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৪০ থেকে ৫০ ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের বাস্তব অবস্থার জন্য নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ৪৫০ মিটার ও নদী ড্রেজিংয়ের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছে।

কিছু নতুন অংশ যেমন, ব্রিজ নির্মাণ ও নদী তীর সংরক্ষণ কাজ পুনর্বাসন সংযোজন এবং প্রস্তাবিত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে ৮ দশমিক ৯০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, নদী তীর সংরক্ষণকাজ পুনর্বাসন, শূন্য দশমিক ৮৯ কিলোমিটার অ্যান্ড টার্মিনেশন, ৯ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং, আটটি অন্যান্য স্থাপনা এবং ব্রিজ নির্মাণ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদ্য সাবেক সদস্য (সাবেক সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে, নদীগুলোর নাব্য ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক ও মূল চ্যানেল বজায় থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads