• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ: স্যালাইন সংকটে ভোগান্তি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ: স্যালাইন সংকটে ভোগান্তি

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ মার্চ ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় আবহাওয়া জনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে । ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন। গত ১০ দিনে অন্ত:ত দেড় শতাধিক রোগী ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে রোগী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন । এসব রোগীর মধ্যে বেশীভাগই শিশু ও বয়স্ক রয়েছে। এদিকে ডায়রিয়া প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কলেরা স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। গত প্রায় ১০ দিন ধরে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কলেরার স্যালাইন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

মঙ্গলবার দুপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে অন্ত:ত ১৭ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশীভাগই রয়েছেন বয়স্ক ও শিশু। এই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কলেরার স্যালাইন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে । তবে হাসপাতালে ওরস্যালাইন, ট্যাবলেটসহ অন্যান্য ঔষধ থাকলেও কলেরার স্যালাইনের সংকট রয়েছে।
পৌর শহরের রাধানগরের সাহা পাড়ার ঝর্ণা আক্তার বলেন, গত দুই দিন ধরে খোজাইফা নামে তার ১ বছর বয়সী ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষধ নিয়ে খাওয়ার পর ও না কমায় তাকে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ভর্তির পর হাসপাতালে কোন স্যালাইন না পাওয়ায় বাহির থেকে কিনে এনে তাকে দেওয়া হয়। এখন আগের চেয়ে তার মেয়ের অবস্থা অনেকটাই ভালো বলে জানায়।

বিজয়নগরের হিরাতলা গ্রামের মাহাবুব বলেন, তার ভাই জুবাইয়ের গত ৫ দিন ধরে ডায়রিয়ায় ভোগছেন। প্রাথমিক ভাবে ওষধ খাওয়ানো হলে ও ভালো না হওয়ায় সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে তারা কোন স্যালাইন পায়নি বলে জানায়। চিকিৎসকরা বাহির থেকে কিনে আনতে বলায় ১টি স্যালাইন আনা হয়। তবে অন্যান্য ঔষধ হাসপাতাল থেকে পেয়েছেন বলে জানায়। এখন অনেকটাই ভালো আছে। পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার গৃহিনী মোছা: মারুফা আক্তার বলেন, তার ৯ মাস বয়সী ছেলে মুজাহিদ ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় তিনি গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। ডাক্তার বলেছেন বড় কোন সমস্যা হয়নি। তবে হাসপাতালে কোন স্যালাইন পান নি বলে জানায়। আগের থেকে অনেক ভালো আছে ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে । হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, এই হাসপাতালে গত ৭-৮ দিন ধরে কলেরার কোন স্যালাইন নেই। তিনি বলেন সংকটের বিষয়টি লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে স্যালাইন চলে আসলে এ সংকট থাকবে না। তাছাড়া অন্যান্য ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads