• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
সিলেটে বর্ষার আগেই মশার রাজত্ব

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সিলেটে বর্ষার আগেই মশার রাজত্ব

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৬ মার্চ ২০২১

সাধারণত বর্ষাকাল শুরু হলেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এবছর বর্ষাকাল শুরুর আগেই সিলেট নগরীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। প্রায় মাসখানেক ধরে নগরজুড়ে মশা রাজত্ব বিস্তার করছে। রাতে তো বটেই দিনেও বাসা-বাড়িতে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। নাগরিকরা বলছেন, নগরের ড্রেন-ছড়াগুলো ভরে আছে আবর্জনায়। সড়কের আশপাশেও পড়ে থাকছে আবর্জনার স্তূপ। এতে সহজেই বিস্তার লাভ করছে মশা।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৭, ১২, ১৩, ১৭, ২১নং ওয়ার্ডে চলছে মশক নিধন কার্যক্রম। গত রোববার থেকে বন্দর, জিন্দাবাজার, আম্বরখানায় এই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে নগরের সব ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরেই লার্ভিসাইড স্প্রে করা হচ্ছে মেশিন দিয়ে। মশার ডিম ধ্বংস করার জন্য এই লার্ভিসাইড স্প্রে ব্যবহার করা হয়। এবং বড় মশা মারার জন্য এডাল্টিসাইট স্প্রে করা হয় ফগার মেশিন দিয়ে। রোববার থেকে লার্ভিসাইড স্প্রের পাশাপাশি ফগার মেশিনও ব্যবহার করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মশা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

নগরের কালীবাড়ি এলাকার গৃহিণী শিমু আক্তার বলেন, অনেকদিন ধরে মশার উৎপাত বেড়েছে। আগে বৃষ্টি হলে মশার উপদ্রব বাড়তো। আর এখন বর্ষাকাল শুরুর আগেই মশার উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে। সকাল সন্ধ্যা বলে কোনো কথা নেই। সব সময়ই মশার উপদ্রব থাকে। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১ মার্চ থেকে আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত এক দেড় মাস ধরে এই কার্যক্রম একটু ধীরগতিতে চলে। কারণ কোভিড ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। তাই এই মশক নিধন কার্যক্রমে নজর দেওয়া হয়নি। এখন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তবে মশার উপদ্রব বাড়লেও এই মশার কামড়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। কিন্তু এখন যে মশাগুলো নগরীতে আছে সেগুলো এডিস নয়, কিউলেক্স মশা। যেগুলো ড্রেন, ছড়া, নালায় জন্ম নেয়। এই মশার কামড়ে ভাইরাসজনিত কোনো রোগ হয় না। মসকিটো এনার্জি বা বিভিন্ন ধরনের এনার্জি যাদের আছে তাদের মশার কামড়ের কারণে সমস্যা হতে পারে। তিনি আরো বলেন, এডিস মশার প্রজনন কাল হচ্ছে বর্ষাকাল। তাই এই মশাকে এডিস মশা ভেবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য নগরবাসীকে তিনি আহবান জানান। এডিস মশার লার্ভা সংগ্রহ করা হয় বৃষ্টির সময়। কারণ এডিস মশার জন্ম হয় বৃষ্টির জমে থাকা পানি থেকে। তাই মার্চের পর থেকে আমরা এডিস মশার লার্ভা সংগ্রহ শুরু করব। এখন লার্ভিসাইট স্প্রের মশার ডিম ধ্বংস করা হচ্ছে। ফগার মেশিন স্প্রে করলে এডাল্ট মশাগুলোও নিয়ন্ত্রণে আসেবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads