• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
ভুল রক্তে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

এলাকাবাসীর মানববন্ধন, তদন্তে কমিটি

ভুল রক্তে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২১

সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসারত রহিমা বেগম নামে এক রোগীর শরীরে ‘এ পজিটিভ’ রক্তের পরিবর্তে ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দেওয়ায় রোগীর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন।

জানা গেছে, পরপর দুবার রোগীর শরীরে অন্য গ্রুপের রক্ত প্রবেশ করানোর ফলে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ মার্চ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে। এরপর বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে তোলপাড় অবস্থার সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে। এদিকে এমন একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটলেও গেল চার দিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এদিকে ক্ষোভের অংশ হিসেবে স্থানীয় মাহমুদুল হাসান মামুন স্মৃতি সংসদসহ আরো তিনটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকালে সদর হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন হয়। এতে রোগীর স্বজন ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা এ ঘটনায় প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামকে দায়ী করেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

সূত্রমতে, সদর উপজেলার দুড়াকুটি গ্রামের রব্বানী ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম (২৭) শারিরিক রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত ১৪ মার্চ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। ওইদিনই তাকে রক্ত দিতে হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। প্যাথলজি বিভাগে রহিমা বেগমের রক্ত পরীক্ষা করে জানানো হয় তার রক্তের গ্রুপ ‘বি পজিটিভ’। এরই মাঝে সাকলাইন সোহান নামের একজন ‘বি পজিটিভ’ রক্তদাতা এক ব্যাগ রক্ত দান করেন। তারপর ওই রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করার পরেই রোগী অস্থিরতায় ভোগে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, যে ডোনারের রক্ত দেওয়া হয়েছে সেই রক্তের তাপমাত্রা ও রোগীর তাপমাত্রা এক না হওয়ায় এ সমস্যা। এরপরের দিন রোগীর আত্ময় মোকলেছুর রহমান মুকুল নিজেও আরেক ব্যাগ ‘বি পজিটিভ’ রক্ত দান করেন। এই রক্ত প্রয়োগ করার পরে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন রোগী রহিমা বেগম। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে ১৮ মার্চ রোগীকে রেফার করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী মোজাফ্ফরের ভুলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মঞ্জুর মোর্শেদ দোলন বলেন, এ ঘটনায় গতকাল শনিবার সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. আব্দুল হাদীকে প্রধান করেন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads