• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মনোহরগঞ্জে ট্রাক্টারের দাপটে অতিষ্ঠ জনসাধারণ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মনোহরগঞ্জে ট্রাক্টারের দাপটে অতিষ্ঠ জনসাধারণ

  • কুদরত উল্যাহ, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০২১

কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন, সরসপুর, বাইশগাঁও, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাশার ইউনিয়নসহ উপজেলার প্রায় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে কৃষি জমি মাটি খনন করা হচ্ছে। পরে তা সড়কের কিনারা কেটে ডাইভার্শন করে প্রতিদিন প্রায় একহাজার ট্রাক্টর রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনগণ।

প্রভাবশালী মাটির কন্ট্রাক্টাররা হলেন, মোঃ আবদুল্লাহ সরসপুর, মহিনউদ্দিন চেয়ারম্যান’র ভাই ফারুক লক্ষণপুর, আবদুল মান্নান চেয়ারম্যান’র ছেলে জহির সরসপুর, আবদুল হালিম সরসপুর, সজিব বেতিয়াপাড়া, তাজুল ইসলাম গোয়ালিয়ারা, মাইনুল হাসান ভাউপুর, সুমন সপুরা, হারুন নাথেরপেটুয়া, শাহ আলম ভাউপুর, সুমন নাথেরপেটুয়া ছাড়াও আরও প্রভাবশালী মাটি কাটার কন্ট্রাক্টার রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমি ও সড়কের পাশ কেটে ট্রাক্টরে মাটি কাটার কারণে ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সড়ক, রাস্তা ও কৃষিজমি। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষিজমির উপরিভাগ কেটে গর্ত তৈরি করায় ফসল উৎপাদনের অযোগ্য হয়ে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাহরাস্তি সহ অন্যান্য উপজেলায় ট্রাক্ট্রর নিষিদ্ধ থাকায় এ উপজেলায় সকল উপজেলার নিষিদ্ধ ট্রাক্টর এনে মাটি কাটছেন প্রভাবশালীরা। এদের থেকে মাসোয়ারা নিচ্ছেন মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ, ক্যাশিয়ার আবদুল হক।

এই অবৈধ ট্রাক্টরের কাগজপত্র এবং ড্রাইভারদের অভিজ্ঞতা ও লাইসেন্স না থাকায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী। গত কয়েকদিন পূর্বে ফেনুয়া গ্রামের আবদুর রবের ছেলে ও মনোহরগঞ্জ বাজারের বেকারি ব্যবসায়ী মাইনুল হক ফখরুল গুরুতর আহত হন। এছাড়া ট্রাক্টরের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন দিশাবন্দ গ্রামের ইউছুপের ছেলে মামুন (১৩), মৈশাতুয়া ইউনিয়নের গজরা পাড়া গ্রামের মিষ্টি-দধি ব্যবসায়ী উত্তম দাস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটির কন্ট্রাক্টার আবদুল্লাহ বলেন, আমি থানা পুলিশকে টাকা দেই এবং নেতাকে ম্যানেজ করে মাটি কাটি। আপনি পত্রিকায় নিউজ করে পারলে কিছু করেন।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমি থানার পুলিশ ক্যাশিয়ার আবদুল হককে প্রতি মাসে ২টি ট্রাক্টার থেকে ৬০০০ টাকা দেই। ট্রাক্টর সমিতির সভাপতি পেয়ার আহম্মদ বলেন, আমাদের উপজেলায় ৫০৯টি ট্রাক্টর রয়েছে ক্যাশিয়ারকে প্রতি মাসে আমার ২টি ট্রাক্টর থেকে ১০০০ টাকা দেই প্রতি গাড়ি থেকে মালিকেরা ৫০০ টাকা করে মাসোয়ারা দিতে হয়। ট্রাক্টর চালাতে সরকার নিষিদ্ধ করলে আমরা অন্য ব্যবসা করব।

চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, আমার ছেলে শুধু মাটি কাটে না আরও অনেকেই মাটি কাটে কামাল ভাই জানে আপনি কামাল ভাইয়ের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে একসাথে বসে আলোচনা করবো। আমার কথা কেউ বললে তার ছবি তুলে নিয়ে আসবেন আমি তার ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, আমি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তারপর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads