• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
সেতুটি নির্মাণ হয়নি ৫ বছরেও

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সেতুটি নির্মাণ হয়নি ৫ বছরেও

  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০২১

সাইদুর রহমান সাইদ, দশমিনা (পটুয়াখালী) 

পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাণের দেড়বছরের মাথায় সামান্য ট্রলারের ধাক্কায় বিধস্ত উপজেলার জমিনমৃধার আয়রন সেতুটি নির্মাণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ১১টি গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও প্রতিনিয়ত চরম বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছে, খেয়া নৌকায় সুতাবাড়িয়া নদী পারাপার হতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গলাচিপার সুতাবাড়িয়া নদীর শাখানদীতে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এডিবির অর্থায়ানে লোহার ওপর কনক্রিট ঢালাই দিয়ে আয়রন সেতুটি ২০১৫ সালের ৩০ জুনে তড়িগড়ি করে নির্মাণকাজ শেষ করেন স্থানীয় ঠিকাদার বেল্লাল হোসেন। নির্মাণের প্রায় দেড় বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে বালুর ট্রলারের সামান্য ধাক্কায় সেতুটির একতৃতীয়াংশ ভেঙে পরে। এ ঘটনায় ওই সেতুর ওপর থাকা নুসরাত জাহান (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার ঠাকুরের হাট সেতুটি ভেঙে জমিনমৃধা বাজার সংলগ্নে সুতাবাড়িয়া নদীর শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই সেতুটি নির্মাণে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়। বালুভর্তি ট্রলারের ধাক্কায় সেতুটির ১৫০ফুট দৈর্ঘ্যের ২৫ ফুটের বেশি নদীতে ভেঙে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল আলম জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় ইউনিয়নটি দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের মর্দনা, জাফরাবাদ, বেতাগী সানকিপুর, খারিজা বেতাগী, দাবাড়ী, তাফালবাড়িয়া, চিংগুড়িয়া, চান্দ্রাবাজ, গলাচিপার পাতাবুনিয়া, রনুয়া, ছোনখোলা, বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ ওই সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করত। এখন বিশাল নদীটি ছোট একটি খেয়া নৌকায় ঝূঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, পূর্বের স্থানটি নদী ভাঙন কবলিত রয়েছে। তবে ওই সেতুটি নির্মাণকাজের প্রস্তাবনায় রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads