• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯
শীতলক্ষ্যায় ফিরছে যৌবন

নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী প্রশস্ত করতে চলছে খনন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

শীতলক্ষ্যায় ফিরছে যৌবন

  • আব্দুল কাইয়ুম, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) 
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০২১

শীতলক্ষ্যা নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। সংকীর্ণ হয়ে পড়া নদী প্রশস্ত করে নৌদুর্ঘনা এড়াতে বিআইডব্লিউটিএ নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করেছে খনন কাজ। ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ময়মনসিংহ পল্লী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নদীর ১০৫ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। নদীর মূল সীমানা পর্যন্ত প্রশস্ত করতে বাকি অংশের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। দখলমুক্ত রাখতে নদীর তীরে করা হচ্ছে বনায়ন।

নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এক নম্বর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিনি যাত্রীবাহী লঞ্চ, মালবাহী কার্গোসহ হাজারো নৌযান চলাচল করে। ঘাটের পূর্ব ও পশ্চিম তীরে শত শত ছোট নৌকা যাত্রী পারাপারের জন্য নোঙর করে রাখা হয়। পাড় দখলের কারণে নদীর প্রশস্ত কমে যাওয়ায় নৌযানগুলো মাঝ নদীতে রাখতে হয়। এতে প্রায় সময় ঘটে দুর্ঘটনা। নদীর প্রশস্ত বৃদ্ধি করে নৌযান চলাচল নিরাপদ ও দুর্ঘটনা এড়াতে অবৈধ দখলমুক্ত করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নদী খনন কাজ শুরু করা হয়। খনন শেষ হলে সেন্ট্রাল ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী প্রকৃত রূপ ও হারানো যৌবন ফিরে পাবে। নদীবন্দরের উপপরিচালক মোবারক হোসেন জানান, সড়কপথে যেমন যান চলাচল বাড়ছে, তেমনি নৌপথেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নৌযান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নদী প্রশস্তকরণ কাজ চলছে, যা চলমান থাকবে।

সরেজমিনে এক নম্বর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে দেখা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ভেকু দিয়ে নদী খনন করে মাটি অপসারণ করছে। নদীর তীর বাঁধাই করে লাগানো হয়েছে গাছের চারা। প্রথম দফায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী প্রশস্ত করতে খনন কাজ করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল খেয়াঘাটে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী মাঝি হেলাল জানান, শুরুতে নদীর প্রশস্ত ছিল প্রায় সাড়ে ৬০০ ফুট। ধীরে ধীরে দখলের কারণে অর্ধেক কমে যায়। খননের পর যেন আবার দখল না হয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক বলেন, সেন্ট্রাল ঘাট শীতলক্ষ্যার গুরুত্বপূর্ণ নৌচ্যানেল। দখল ও দূষণের কারণে নদী মরতে বসেছে। বহুদিন ধরে নদীর নাব্য বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি। নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ আমলের মাপ অনুযায়ী নদীর জায়গা দখলমুক্ত করে নদীর হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, কমতে কমতে শীতলক্ষ্যা প্রশস্ত হয়ে পড়েছিল ২৬৫ ফুট। নদীর তীর খনন করে এরই মাঝে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১০৫ ফুট প্রশস্ত বৃদ্ধি করায় ৩৭০ ফুট হয়েছে। সিএসডি খাদ্যগুদাম থেকে মেরিন টেকনোলজি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা খনন ও মাটি অপসারণ করে ১৯৬০ সালে নদীর যে মূল প্রশস্ত ছিল, সেই অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads