• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
কাঠের সাঁকোটি যেন মরণফাঁদ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

কাঠের সাঁকোটি যেন মরণফাঁদ

  • সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০২১

বাসাইলে একটি কাঠের সাঁকো স্থানীয় এলাকাবাসীর মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাঁকোর পাটাতনের পুরাতন কাঠ পচে যাওয়ায় কোথাও কোথাও বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে তিন থেকে চারজন লোক পারাপারের জন্য উঠলেই খুঁটিসহ পুরো সাঁকো নড়ে উঠে। ৮০ মিটার দীর্ঘ সাঁকোর দুই পাশের রেলিংয়ের অধিকাংশ কাঠ পচে পেরেক বের হয়ে গেছে। সাঁকোর এমন নড়বড়ে অবস্থার কারণে স্থানীয়রা একে মরণফাঁদ নাম দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ফুলকী এবং কাউলজানী ইউনিয়নের মাঝদিয়ে প্রবাহিত লাঙ্গুলিয়া নদীর ওপর নির্মিত এ মরণফাঁদ দিয়েই দুই ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী কালিহাতি উপজেলার কয়েক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত। বাসাইল উপজেলার দুটি ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার রামপুর, বল্লা, কাজীবাড়ি, পাইকরা, ধানগিরা, কাউলা, রানাগাছা, দোহারসহ বেশকিছু গ্রামের লোকজনের বাসাইল উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এই এলাকায় পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি দাখিল মাদরাসা, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি ব্যাংকের শাখা এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রতিদিন এই কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে।

স্থানীয়রা জানান, ২০১২ সালে শুরুর দিকে এলাকাবাসীর দুঃখ লাঘবে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত শওকত মোমেন শাজাহান এই নদীর ওপর দেড় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। নির্মাণের ২/৩ বছর পর সাঁকোর কিছু খুঁটিসহ পাটাতন নষ্ট হয়ে গেলে স্থানীয়রা স্বোচ্ছাশ্রমে বাঁশদিয়ে মেরামত করেন। সম্প্রতি সাঁকোটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়ে স্বাভাবিক চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। এরপরও উপায়হীন পথচারীরা এ সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছেন। ফলে প্রতি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় কাউলজানী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ এই সাঁকো সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এখানে সেতু হবে বলে তারা জানিয়েছেন। শুনেছি বরাদ্দও হয়েছে, কিন্তু প্রগ্রেসিভ কিছু পাচ্ছি না।

উপজেলা প্রকৌশলী রুজদিদ আহমেদ বলেন, ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণে প্রাথমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের জিও সহকারে সকল তথ্যাদি কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে, যা অনুমোদন হলে সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads