• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
এলেংজানী নদী কেটে মাটি পাচার

দেলদুয়ারের গরাসিন এলেংজানি নদীতে মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

এলেংজানী নদী কেটে মাটি পাচার

  • মোস্তফা কামাল নান্নু, টাঙ্গাইল
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০২১

জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের এলেংজানী নদীর ওপর গড়াসিন এলাকায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী আমির হোসেন খান রিপন, আব্দুল্লাহ শুকুর, সুমন খান, মুনসুর ও ডলারের নেতৃত্বে রোড পারমিটবিহীন গতির মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরযোগে নদীশিকস্ত খাসজমিতে তিন-চারটি ভেকু বসিয়ে প্রকাশ্যে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। প্রতি বছর নদীতে এভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে গত কয়েক বছরে বন্যায় প্লাবিত হয়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি, বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে গ্রামের মসজিদসহ অসংখ্য ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ও ভিটেবাড়ি। এদিকে প্রকাশ্যে নদীশিকস্ত জমিতে দিনরাত ভেকু বসিয়ে বালু উত্তোলন করলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক ভূমিকায় রয়েছে। উপজেলার সব জায়গায় ড্রেজার ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও অদৃশ্য ক্ষমতায় ওই চক্রটি উপজেলার গড়াসিন এলাকায় মাটি উত্তোলনের বাণিজ্য চালিয়েই যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, বর্ষায় ব্যক্তিমালিকানাধীন কারো সম্পত্তি নদীতে বিলীন হলে আমরা সাধারণত জানি আইনুযায়ী ওই জমি নদীশিকস্ত খাস হিসেবে গণ্য হয়। যদি তাই হয় নদীশিকস্ত খাসজমি থেকে প্রশাসনের চোখের সামনেই ভেকু বসিয়ে মাটি কাটা এবং তা বিক্রির উদ্দেশ্যে মাটি ভরতি মাহেন্দ্র ট্রাক চলাচল ও সরবরাহ আইনত অপরাধ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মাটি ব্যবসায়ীদের এসব অনৈতিক কাজে পরোক্ষ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় নিরীহ জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সুফল পায় না।

এ বিষয়ে গড়াসিন এলাকার মাটি ব্যবসায়ী আমির হোসেন খান রিপন বলেন, নদী-তীরবর্তী ব্যক্তিমালিকানাধীন উঁচু ভূমি ক্রয় করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমরা মাটি বিক্রি করে থাকি। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

দেলদুয়ার থানার ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবৈধ মাটি ব্যবসার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ সবসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় অংশ নিচ্ছে।

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বে আমি কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করেছি। বর্তমানে মাটি বিক্রি চলমান কি না আমি অবগত নই। চলমান থাকলে অতি দ্রুত এসব অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ও রোড পারমিটবিহীন মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads