• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
সুন্দরবনে ৮০০ কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্য

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সুন্দরবনে ৮০০ কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্য

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০২১

সুন্দরবনে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মধু আহরণ মৌসুম। প্রতি বছরের মতো এবছরেও একই সময় পারমিট দেওয়া শুরু করেছে বন অফিসগুলো। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন শরণখোলার পাঁচ হাজার মৌয়াল। মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বনে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বন অফিসের ঘাটে পারমিটের অপেক্ষা করছেন তারা। আবার এখনো নৌকা প্রস্তুতির কাজ চলছে অনেকের।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের তথ্য মতে, এবছর মৌসুমের তিন মাসে ৮০০ কুইন্টাল মধু এবং ২৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১ এপ্রিল স্টেশন অফিসগুলো থেকে পাস-পারমিট দেওয়া শুরু হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শরণখোলা রেঞ্জের বন থেকে ৭১১ দশমিক ৫০ কুইন্টাল মধু এবং ২১৩ দশমিক ৪৫ কুইন্টাল মোম আহরণ করা হয়।

মৌয়ালদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে খলিশা ফুলের মধু আসে। এরপর আসে গরাণ ফুলের। সর্বশেষে আসে কেওড়া ও ছইলা ফুলের মধু। এই তিন প্রজাতির মধুর মধ্যে সবচেয়ে দামি হচ্ছে খলিশার মধু। কিন্তু এবছর এ অঞ্চলে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আর বৃষ্টি না হলে ফুল শুকিয়ে ঝরে যায় বলে মধু জমে না। তাই এবছর মধু কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন মৌয়ালরা।

শরণখোলার খুড়িয়াখালী গ্রামের মধু ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ জানান, তিনি এবছর তিনটি নৌকায় দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তার আরো বেশি বিনিয়োগের ইচ্ছা ছিল এবার। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় তিনি বেশি বিনিয়োগে সাহস পাননি। কারণ বনে ফুলের সমারোহ বেশি থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় তা ঝরে যাচ্ছে। আর ফুল টিকে না থাকলে মধুও কম হবে।

পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদীন বলেন, সুন্দরবনে মধু কম-বেশি হওয়া অনেকটা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কিনা তা আগে বলা যাচ্ছে না।

এসিএফ জানান, এবারে সংশ্লিষ্ট বন অফিস থেকে ১৪ দিনের পারমিট নিয়ে বনে প্রবেশ করবে মৌয়ালরা। এরমধ্যে অনূর্ধ্ব ২০০ মণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈধ বিএলসিধারী নৌকার মালিক হতে হবে। সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এলাকা থেকে মধু আহরণ করা যাবে না, কোনো মৌয়াল নিষিদ্ধ বনাঞ্চলে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তার পারমিট বাতিল করা হবে। এছাড়া, পাসধারী মৌয়ালগণ মধু আহরণের জন্য মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুণ্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে পারবে না। এগুলোসহ ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মৌয়ালদের। এই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে বন আইনে শাস্তির বিধানও রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads