• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

নীলফামারি জেনারেল হাসপাতাল

স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না দর্শনার্থীরা

  • নীলফামারী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল ২০২১

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ফের রোগীর চাপ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোনো বালাই। হাসপাতালের বহির্বিভাগ, ইনডোরে রোগী ও দর্শনার্থীদের মাস্কবিহীন ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। বেড়েছে বহির্বিভাগের রোগীর সংখ্যাও। মাস্কবিহীন দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে কেউবা টিকিট সংগ্রহ করছেন, আবার কেউবা ওষুধ নিচ্ছেন।

গতকাল শনিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডের বিছানাগুলোয় রোগী ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে একাকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরুষ ওয়ার্ডের একজন নার্স বলেন, কতৃপক্ষের উদাসীনতাই করোনাকালে এমন জটলা। করোনাকালেও হাসপাতালে গড়ে ২৫০-৩০০ রোগী ভর্তি থাকে। তিনি বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও করোনা থেকে মুক্তি পেতে বাড়ি থেকে বের হবেন না, বাসায় থাকবেন, মাস্ক পরিধান ও বারবার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুবেন। এসব প্রচার শুনেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।

এদিকে, একই চিত্র দেখা যায় মহিলা, প্রসূতি, শিশু, নবজাতক ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। মহিলা ওয়ার্ডের নার্স

সাবিনা আকতার বলেন, করোনার দ্ধিতীয় ঢেউয়ে মহামারী সৃষ্টি হলেও মানুষ তা বুঝে না। আগে ওয়ার্ডে বিছানা

খালি পড়ে থাকতো। এখন জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না, বারান্দায় শুয়েও সেবা নিচ্ছে।

হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার কল্পনা রানী দাস বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষ এখন ততটা ভাবে না। এ কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। স্ট্যাফরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও রোগীর দর্শনার্থীরা তা মানছে না। তিনি জানান, আজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে ২৩৫ জন ও বহিঃবিভাগে নারী পুরুষসহ ৭০০ জন। ২৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৬৫, মহিলা ওয়ার্ডে ৭২, নবজাতকে ১২, শিশু ২৯ এবং প্রসূতি ওয়ার্ডে ৪৫ জন ও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে সাতজন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. অমল রায় বলেন, করোনার দ্ধিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করে না। স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো একটু মাথাব্যাথা হলেই ছুটে আসে হাসপাতালে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) মেজবাহুল হাচান চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারী এড়াতে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কর্মসূচি চালু করেও রোগী ও দর্শনার্থী

স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তিনি বলেন, ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র (চিকিৎসা) দুইটাই বিনামূলে পেতে সবাই হাসপাতালে ছুটে আসে। এ কারণে রোগী সংখ্যা বাড়ছে। এতে কিছুটা স্বাস্থবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads