নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মানিক মজুমদারের শেষকৃত্য কাজে এগিয়ে এসেছে মুসলিমরা।রোববার সকালে মানিক মজুমদার মারা গেলেএলাকায় গুজব রটে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই সেই গ্রামের হিন্দুরা এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ পরিবারের।কিন্তু তার শেষকৃত্যের কাজে এগিয়ে এসেছে মুসলিমরা। শেষকৃত্যের কাজে হিন্দু বা সনাতনদের চেয়ে মুসলিমদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।
মানিক মজুমদারের গ্রামের বাড়ি মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের আকানগর গ্রামে। তিনি
প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
পরিবারের লোকজন জানায় , মানিক মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে ডায়বেটিকস শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে গত সপ্তাহে বাঘি বাড়ি কালী মন্দিরের কীর্তনের মিটিং এ মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি।তারপর এলাকাতেই স্থানীয় ডাক্তারের সহায়তায় একটু সুস্থ্ হন। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরে গেলে তার বুকে ব্যাথা অনুভুত হয় এবং এর তীব্রতা বাড়লে পরিবারের লোকেরা তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকারউত্তরায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে রোববার সকাল পর্যন্ত তিনি মোট তিনবার স্ট্রোক করেন। পরের রোববার সকাল ১০.৩০ মিনিটে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না।পরে রোববার দুপুরে মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসলে স্বজাতি সনাতন ধর্মের অনেকেই এগিয়ে আসেনি। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের আশেপাশের ৮ থেকে ১০ গ্রামের ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। আর মুসলমান সম্প্রদায়ের গোতাশিয়া ইউনিয়নসহ পাশের বেলাব ও শিবপুর উপজেলার প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।
আকানগর গ্রামের বাসিন্দা মজিদ মাষ্টার বলেন, আমরা মানিক বাবুর সাথে এক সঙ্গে চলা ফেরা করেছি। তিনি আমাদের সুখে দু:খে পাশে থেকেছে। কিন্তু তার মৃত্যু করোনায় হয়েছে গুজব ছড়িয়ে তার ধর্মাবলম্বীর অনেকে উপস্থিত ছিলেন না। আমরা শেষকৃত্যের সময় পাশে থেকে তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি।
মানিক মজুমদারের ভাতিজা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা সুব্রত মজুমদার তুহিন বলেন, জেঠু করোনা আক্রান্ত ছিলেন না । তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনার গুজবে অনেক কাছের মানুষ এগিয়ে আসেনি। চার ভাগের তিনভাগই ছিলো মুসলিম আর এক ভাগ হিন্দু।