• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

ভ্রাম্যমান গাড়িতে মিলছে ন্যায্য মূল্যে দুধ ডিম

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভ্রাম্যমান গাড়িতে করে দুধ-ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে খামারিদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে কম দামে ভালো মানের দুধ-ডিম পাওয়ায় এলাকায় ভালো সাড়া পড়ছে। ক্রেতারা লাইনে দাঁড়িয়ে দুধ ডিম ক্রয় করছেন। ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে এলাকায় এলাকায় ৬০ টাকায় প্রতি লিটার গরুর দুধ বিক্রি করছেন। এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায়। বর্তমানে একটি ভ্যানগাড়ি পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিক্রি করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, এলডিডিপির প্রকল্পের আওতায় ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমান ভ্যানগাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে দুধ ডিম বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। তাছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় সপ্তাহে ১দিন বিক্রি হচ্ছে মুরগী ও গরুর মাংস।

বর্তমান করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউন এবং পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খামারের উৎপাদিত দুধ ডিম সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমান যানবাহনের মাধ্যমে মাসব্যাপী ন্যায্যমূল্যে ওইসব বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ কার্যক্রমে খামারি ও ভোক্তা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানান, এই বৈশ্বিক মহামারিতে উপজেলার খামারিরা পণ্য উৎপাদন করে যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উৎপাদন বিমুখ না হয় এর জন্যই প্রাণিসম্পদ বিভাগ সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে দুধ ডিম ও মাংস কিনে ভ্রাম্যমান গাড়িতে বিক্রি করছেন। একই সাথে তারা ন্যায্যদামে বাজারজাত করছেন। প্রতিটি পণ্য তাদের কাছে বাজার দামের চেয়ে তুলনামূল ভাবে অনেক কম রয়েছে। এতে ক্রেতা সাধারণ এসব পণ্য কিনে খুবই খুশি।

একাধিক খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা তাদের লাভ রেখেই ন্যায্য দামে দুধ ডিম ও মাংস দিচ্ছেন। এ কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যেতে তারা সব ধরনের সহায়তা করবে।

ভ্রাম্যমান দুধ ডিম বিক্রেতা মো. মুখলেছুর রহমান আনিস বলেন, শুরু থেকে এলাকায় দুধ ডিম বিক্রিতে ভালো সারা পাচ্ছেন বলে জানায়। মানুষের কাছে দুধ ডিমের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে ।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. কামাল বাশার বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন মোকাবেলায় সরকারের এক সপ্তাহের লকডাউনে এ উপজেলায় ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়িতে উৎপাদিত দুধ-ডিম ও মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। দৈনিক একটি ভ্যান গাড়িতে দুধ, ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহে একদিন থাকছে মুরগি ও গরুর মাংস । তিনি বলেন প্রথম দিন ১৫০ লিটার দুধ ও ২০ ক্যারট ডিম বিক্রি হয়। তবে এলাকায় ডিম ও গরুর দুধের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানায়। রোববার দুপুর পযর্ন্ত ২০০ লিটার দুধ ও ২০ ক্যারট ডিম বিক্রি হয়েছে বলে জানায়।

উপজেলা পর্যায়ে এ ভ্যান গাড়িতে এক হালি ডিম ২৪ টাকা এক লিটার গরুর দুধ ৬০ টাকা, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০টাকা ও ব্রয়লারের মুরগি ১২৫টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ গাড়ি থেকে কেনাকাটা করতে হবে বলে জানায়। তিনি আরো বলেন গত বছর করোনাকালে আমাদের খামারিদের আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই এ বছর আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads