• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
প্রতিদিন অবিক্রীত ৮ লাখ ডিম

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

প্রতিদিন অবিক্রীত ৮ লাখ ডিম

  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০২১

আইয়ুব আলী, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত আট লাখ ডিম প্রতিদিন অবিক্রীত থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ডিম। লকডাউনে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন ডিম উৎপাদনকারী খামার মালিকরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই জেলায় একটি সরকারিসহ তিন হাজার ৭৭৭টি পোলট্রি খামার থেকে বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন ১০ লাখ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। জেলায় ডিমের চাহিদা রয়েছে দৈনিক দুই লাখ। স্বাভাবিক সময়ে জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন আট লাখ ডিম রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় উৎপাদিত ডিম অন্য জেলায় পাঠানো যাচ্ছে না। অবিক্রীত বিপুল পরিমাণ ডিম নিয়ে বিপাকে পড়েছে পোলট্রি খামার ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ডিম বিক্রি করতে না পারায় খামারিরা মুরগির খাদ্য কিনতে পারছেন না। তাছাড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় পচে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ ডিম। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে উৎপাদনশীল অনেক পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সদর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকার পোলট্রি খামারি শাহীন রেজা বলেন, আমার খামারে ২৮ হাজার মুরগি আছে। খামার থেকে বর্তমানে দৈনিক ১৪ হাজার ডিম পাওয়া যায়। লকডাউনে প্রতিদিন প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভ্রাম্যমাণ ভ্যান দুই হাজার করে ডিম কিনে নিচ্ছে। স্থানীয় বাজারে ৫০০ডিম বিক্রি হচ্ছে। অবশিষ্ট প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ডিম প্রতিদিন অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। পুঞ্জীভূত এই ডিম রাখার কোনো জায়গা পাচ্ছি না। সরকারিভাবেও ডিম সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নাই, যে কারণে আমার মতো আরো কয়েক হাজার খামারির কয়েক লাখ ডিম প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে। এদিকে ডিম বিক্রি করতে না পারায় মুরগির খাবারো কেনা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় খামার বন্ধের উপক্রম হয়েছে। প্রায় একই ধরনের কথা বলেন বহুলি এলাকার পোলট্রি ব্যবসায়ী রমজান আলী, ভদ্রঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামসহ অনেকে।

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ড্রাস্টিজ অ্যাসোসিয়েশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এস এম ফরিদুল ইসলাম বলেন, উৎপাদিত ডিম বিক্রি করতে না পারায় ভালো নেই সিরাজগঞ্জ পোলট্রি খামারিরা। সরকারিভাবে গুটিকয়েক খামারিকে যে সহযোগিতা দেওয়া হয়, তা খুবই অপ্রতুল।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত ডিম যাতে রাজধানীসহ দেশের অন্য জেলায় সরবরাহ করা যায়- সেজন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া খামারিরা যাতে লোকসানে না পড়েন, সেজন্য জেলাসদরসহ ৯টি উপজেলায় লকডাউন চলাকালে ৪৪টি ন্যায্য মূল্যের ভ্রাম্যমাণভ্যান বিক্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব ভ্রাম্যমাণভ্যান বিক্রয়কেন্দ্রে ডিমের পাশাপাশি সোনালী মুরগির মাংসও বিক্রি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads