• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

জনসেবায় অবদান রাখছে মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০২১

জনসেবায় অবদান রেখে চিকিৎসা সেবায় সুনাম অর্জন করেছেন মানিকগঞ্জের মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত চক্ষু চিকিৎসায় সেবা দিয়ে আসছে।

জানা গেছে , সমাজের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অসহায় জনগোষ্ঠীর চক্ষু চিকিৎসা সেবার জন্য মহান উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০৩ সালে মানিকগঞ্জ বাসষ্টান্ডে মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করেন মানিকগঞ্জ দুই আসনের সংসদ সদস্য কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগম । পরে ২০০৪ সালে হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিনামুল্যে অসহায় গরীব রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন করে হাসপাতালটি বেশ সাফল্যের সাথে সুনাম অর্জন করেন। এরপর ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আংশিক খরচে এবং গরীব রোগীদের বিনামুল্যে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে মমতাজ চক্ষু হাসপাতালটি।

২০০৩ সাল হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ বাসষ্টান্ড জয়রা রোড এলাকায় ভাড়া ভবন নিয়ে দক্ষ এবং সততার সাথে চক্ষু সেবায় অবদান রেখে ২০১৭ সালের পর থেকে মানিকগঞ্জ বাসষ্টান্ড থেকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে মানরা গ্রামে নিজস্ব ভবনে নির্মান করে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দৃষ্টি সেবা নেওয়ার জন্য রোগীরা এই হাসপাতালে আসেন। বর্তমানে এই হাসপাতালটিতে প্রতিমাসে দুই শ’ থেকে তিন শ’ চক্ষুরোগীর বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালটিতে ৩ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মোট ৫৬ জন জনবল দ্বারা উন্নতমানের চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগী গ্রামের কিসমত আলী বলেন, এম,পি মমতাজ যদি মানিকগঞ্জে এমন চক্ষু চিকিৎসার ব্যবস্থা না করতেন তাহলে আমাদের মত সাধারন জনগনের ঢাকায় গিয়ে চোখের চিকিৎসা নিতে হতো এবং আমাদের খরচের পরিমান বেশী ও হয়রানীর শিকার হতে হতো।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকার গোলাপ সরকার বলেন, মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল আমার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার এলাকার এক লোকের সহযোগীতায় মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে বিনামুল্যে চোখের অপারেশন করে আমার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ যেন হাসপাতালের মালিককে দীর্ঘ দিন বাঁচিয়ে রাখে।

মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা কন্ঠ শিল্পী এম,পি মমতাজ বলেন, জনস্বার্থে জনসেবার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য চক্ষু চিকিৎসার হাসপাতালটি নির্মান করেছি। বানিজ্যিক মনোভাব নিয়ে আমি এই হাসপতালটি করেনি । লক্ষ্য উদ্দেশ্য অসহায় মানুষের সেবা করা। আমার পিতা মরহুম মধু বয়াতীর অনুপ্রেরনায় ও জনগনের চক্ষু সেবার ব্রত নিয়ে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করি । দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত এই হাসপাতালটি সুনামের সহিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads