• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
১৪ ঘন্টার ব্যবধানে চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করলো পুলিশ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

১৪ ঘন্টার ব্যবধানে চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করলো পুলিশ

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০২১

নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদী সদরের ব্রহ্মন্দী এলাকার চিত্তরঞ্জন মালাকারের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশসুপার (অপরাধ) মোহাম¥দ রাসেল শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে নরসিংদী সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখাতে যান। সিরিয়ালের জন্য শিশুটির নানি পরীবানু অপরিচিত এক মহিলার কোলে বাচ্চাটি রেখে নিচ থেকে তার স্বজনদের ডাকতে যান। এরই ফাকে দুইদিন বয়সী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান সেই অপরিচিতা মহিলা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নরসিংদীসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চুরির পরেই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কাজ শুরু করে পুলিশ।

এর মধ্যে দুপুরে চুরি হওয়া নবজাতকের নানি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মন্দী এলাকার চিত্তরঞ্জন মালাকারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরো জানায়, চিত্তরঞ্জনের মেয়ে লিপিকার বিয়ে হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। পরপর দুইটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার পরে এখনো তিনি আটমাসের অন্তস্বত্তা। আর এখনোতারগর্ভে আরেকটি কন্যা সন্তানর য়েছে। সমাজে কন্যা সন্তানের জন্য লঞ্ছনা গঞ্জনার স্বীকার লিপিকা একটি পুত্র সন্তানের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে দেন দরবার করে। পরেঅ পরিচিতা মহিলাটি তাকে একটি পুত্র সন্তান এনে দেয়ার আশ্বাস দেন।এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন অপরিচিত মহিলাটি নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা দুইদিনের নবজাতক শিশুটিকে কৌশলে তার নানির কাছ থেকে চুরি করে লিপিকার হাতে তুলে দেয়। আর এই বাচ্চা এনে দেয়ার কারনে লিপিকা মহিলাটিকে দুই হাজার টাকা দেন।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, শিশুটি উদ্ধারে প্রযুক্তি আমাদের সহায়তা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা চুরি করা নারীকে শনাক্ত করেছি। সবশেষ সদরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার চিত্তরঞ্জন মালাকারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতকটি উদ্ধার করি ও মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিই।

অভিযানের সময় যে নারী নবজাতকটিকে চুরি করেছে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনো মামলা ও কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তবে যে নারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads