• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

হাজীগঞ্জে তরুণীকে গণধর্ষণ, আটক ২

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ, চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০২১

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (২০) বাদী হয়ে আজ সোমবার (২৪ মে) ৪ জনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় ভোরে মামলায় অভিযুক্ত আসামী ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মো. মহিনউদ্দিন (২৬), একই গ্রামের মাঝি বাড়ীর মো. দুলাল মিয়াজীর ছেলে মো. শাকিল হোসেন (২৪) কে গ্রেপ্তার করেছে। আরো ২ আসামি পলাতক রয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলার জয়শরা গ্রামের ছৈয়াল বাড়ীর মো. ফয়েজ আহমেদের মেয়ে (২০) গত ২২ মে নদী বাড়ী নামক স্থানে ঘুরতে আসে। সেখানে শাকিল নামে এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে রাতে ওই তরুণী বাড়ী যেতে চাইলে শাকিল ও তার সহযোগিরা কৌশলে নদী বাড়ী সংলগ্ন একটি বালুর মাঠে নিয়ে মহিনউদ্দিন ও শাকিল ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই তরুণীকে কয়েকবার ধর্ষণ করে। একই রাতে রান্ধুনীমুড়া বৈষ্ণব বাড়ী সংলগ্ন শাকিলের খালার বাড়ীতে নিয়ে রান্ধুনীমুড়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর শুকুর আলমের বাড়ীর মো. ইউসুফের ছেলে ইসমাইল (৩২) ও তার ছোট ভাই কালু (২১) কয়েবার ধর্ষণ করে।

নির্যাতিত তরুণীকে সকালে ধর্ষণকারীরে রাস্তা পাশে মাঠে ফেলে যায়। মেয়ের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ) সার্কেল সোহেল মাহমুদ এর দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ২৩ মে দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার দু’ আসামিকে আটক করে। অপর দু’আসামি ইসমাইল ও তার ছোট ভাই কালুকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইব্রাহী খলিল।

সোমবার সকালে নির্যাতিত তরুণীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর শুকুর আলমের বাড়ীর মো. ইউসুফের ছেলে ইসমাইল (৩২) ও তার ছোট ভাই কালু (২১), ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মো. মহিনউদ্দিন (২৬) একই গ্রামের মাঝি বাড়ীর মো. দুলাল মিয়াজীর ছেলে মো. শাকিল হোসেন তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। নদী বাড়ীতে তারা সব সময় ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রয় করে থাকে। বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যেও নদী বাড়ী নামক আড্ডা খানায় মেলা চালিয়ে যুবক-যুবতীদের মিলন মেলায় পরিণত করেছে। ফলে এখানে অবৈধ কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads