পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটে ও বাজার মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত তালশাঁস ব্যাপক চাহিদা। একটি তাল ১৫/২০ টাকায় খুচরা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। তবে একটি তালগাছ গৃস্থের ভালো অর্থ জোগান দিয়ে থাকে।
দিনদিন গরম বাড়ছে। এই গরম জনতার প্রান প্রায় ওষ্ঠাগত। এই গ্রীষ্মের তীব্র গরমে একটু খানি স্বস্তির জন্য নানা ধরণের ফল খেয়ে থাকে মানুষ। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে ভেজালবিহীন তালশাঁস। এই ভেজালবিহীন তালশাঁস শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। আর এই তালশাঁস পুষ্টিগুনে ভরপুর হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ ভরে খেয়ে থাকে।
তবে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাসে তালশাঁস বেশি পাওয়া যায়। কেউ ফৈরি করে আবার কেউ ছোট বড় বাজারে বসে এই তালশাঁসের বিক্রি করছেন। দেবোত্ত, আটঘরিয়া, একদন্ত, সড়াবাড়িয়া, গোরুড়ী সহ বিভিন্ন বাজারে খুচরা ও পাইকরী তালশাঁস বিক্রি করে থাকেন। তালশাঁস একা বিক্রি করা সম্ভব হয়না। একজন জোগানদার লাগে। এসব খুচরা ব্যবসায়ী সাধারন গৃস্থের কাছ থেকে গাছধরা হিসেবে কিনে থাকে। এতে লাভের পরিনাম বেশি হয়ে থাকে।
একজন খুচরা বিক্রেতা প্রতিদিন তালশাঁস বিক্রি করেন থাকেন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করে থাকে। এতে প্রায় সারা বছরের শ্রমিকের প্রাপ্ত অর্থ এই মৌসুমে আয় হয়ে থাকে। এই এলাকায় সাধারনত একটি তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা। তবে অনেক সময় এর বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। একটা তাল গাছের গৃস্থের প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। যে কারণে গৃস্থরা তালগাছ লাগাতে শুরু করেছে। একটি তালগাছ গৃস্থের অর্থ জোগান দিচ্ছে। তবে তাল গাছের কোনো যন্ত করতে হয় না। কিন্ত তালগাছ যতœ আর অবহেলায় বড় হয়ে থাকে।
এবিষয়ে তালশাঁস ব্যবসায়ী আব্দুল রহিম জানান, গৃস্থের কাছ থেকে একটি তালগাছ পাইকারী তিন থেকে চার হাজার টাকায় কিনতে হয়। এতে খরচ খরচাবাদে একটি তালগাছ থেকে আমার দেড় থেকে দুই হাজার টাকা লাভ হয়। একটি তালশাঁসের রোয়া ৫ টাকা থেকে ৭ টাকায় বিক্রি করে থাকি। প্রতি তালশাঁস আমরা বিক্রি করি ১৫ থেকে ২০ টাকা।