আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে গত কয়েকদিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যহত হওয়ায় দু’পারেই ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। ঘাট ও ফেরি সংকটের কারণে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। দুই পারেই ফেরি পারাপার হতে আসা গাড়িগুলো ঘাটেই অপেক্ষা করছে। ফলে আরিচা ঘাট পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি সুত্রে জানা গেছে, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলাচলরত চারটি ফেরির মধ্যে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। কেতোকি নামের একটি ফেরি বিকল হয়ে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেরামতে রয়েছে। আরিচা ও কাজিরহাটে মাত্র একটি করে ঘাট রয়েছে। কাজিরহাট ঘাটের এ্যাপ্রোচ রাস্তায় আটকে যাওয়া ট্রাকটি গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় সরানো হলে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে পরের দিন শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৩ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। নদী পারাপার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদেরকে দীর্ঘ এসময় ঘাটেই অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অপেক্ষমান এসব যাত্রীদেরকে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও আরিচা ঘাটে পারের অপেক্ষারত যানবাহন পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার দুপুরে আরিচা ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আরিচা টার্মিনাল এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ছোট গাড়ি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারপার করলেও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে এসব ট্রাক শ্রমিকদের দুর্ভোগ লেগেই আছে।
আরিচা ঘাটের ম্যানেজার মো. আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও আশংকা কাটেনি। কারণ চারটি ফেরির মধ্যে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। দুই পারে মাত্র একটি করে ঘাট এবং যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম হওয়ায় ঝুকি রয়েছে। যে কোন সময় স্বাভাবিক ফেরি পারপার ব্যহত হতে পারে। আরিচা এবং কাজিরহাটে আরো একটি করে ঘাট বানানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।