• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
 ডিএনডিতে জলজট দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে ১৮ ড্রেজার

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

ডিএনডিতে জলজট দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে ১৮ ড্রেজার

  • আব্দুল কাইয়ুম, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) 
  • প্রকাশিত ২২ জুন ২০২১

ডিএনডি এলাকায় দেখা দিয়েছে চৌবাচ্চা সংক্রান্ত গাণিতিক সমস্যা। এক নল দিয়ে পানি বের হচ্ছে। আঠারো নল দিয়ে পানি ঢুকছে। আবার হচ্ছে বৃষ্টি। ফলে পানি বের করার চেয়ে ঢোকার মাত্রা বাড়ছে। এতে নিরসন হচ্ছে না জলাবদ্ধতা। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ডিএনডিবাসী।

জানা গেছে, ডিএনডির বিভিন্ন এলাকায় জলাশয় ও নিচু জমি ভরাটের জন্য শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধ ভাবে বসানো হয়েছে আঠারোটি ড্রেজার। সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল পাম্প হাউজ দিয়ে যে শীতলক্ষ্যা নদী ডিএনডির পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে সেই নদী থেকেই ড্রেজারের মাধ্যমে পানি ডিএনডির ভিতরে প্রবেশ করছে। পানি নিস্কাশন করা হচ্ছে একদিক দিয়ে আর প্রবেশ করছে আঠারো দিক দিয়ে। বৃষ্টি ও ড্রেজারের পানি এক হয়ে নিস্কাশনের তুলনায় পানি প্রবেশের মাত্রার ব্যবধান বেশি না হওয়ায় কমছে না জলাবদ্ধতা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরী বাড়িতে একটি, চিত্তরঞ্জন এলাকায় দুইটি, আদমজীতে একটি, সাইলো দুইটি, আটিতে তিনটি, শিমরাইলে চারটি, ডেমরার শুকরসী পাথর পাথর ঘাটে দুইটি, বালুর ঘাটে দুইটি ও ডেমরা ঘাটে একটি ড্রেজার বসানো হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। প্রতিটি ড্রেজার বালু ভরাট করছে ডিএনডি এলাকার ভিতরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ড্রেজার মালিক জানান, বালু ভরাট করতে ড্রেজারে শতকরা ত্রিশ শতাংশ বালু আর সত্তর শতাংশ পানি যায়। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে পনেরো ঘণ্টা চলে একটি ড্রেজার। পরিসংখ্যান মতে অঠারোটি ড্রেজার দিয়ে যে পরিমান পানি ডিএনডি এলাকায় প্রবেশ করছে তা পাম্প হাইজের মেশিনে নিস্কাশনের চেয়ে একেবারে কম নয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব ড্রেজার যারা বসিয়েছে তাদের মধ্যে চারজন জনপ্রতিধি, বাকিরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় বিতর্কিত নেতা। কোন ড্রেজার এককভাবে কেউ বসায়নি। প্রতিটি এলাকার প্রভাভশালী ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে এসব ড্রেজার বসিয়েছে। কোন ড্রেজারই নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বসানো হয়নি। তবে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নদীতে এসব ড্রেজার বসানো হয়েছে বলে ড্রেজার ব্যবসায়ী সূত্র জানায়। শুধু জলাবদ্ধতাই নয় এলাকার অনেক গুরত্বপূর্ণ সড়কের উপর দিয়ে ড্রেজার পাইপ বসানোর ফলে যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি নয় কোন ড্রেজার ব্যবসায়ী।

ডিএনডি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প কাজে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তারা জানান, নানা ভাবে নিস্কাশন ব্যবস্থা কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন নেত্রীস্থানীয় লোকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেও আশানুরুপ সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি স্থানীয় সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন।

নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, নদীতে ড্রেজার বসানোর কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। সম্পুর্ণ অবৈধ ভাবে বসানো হয়েছে। খুব দ্রুত এ সময়ের মধ্যে নদী থেকে ড্রেজার উচ্ছেদ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads