• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
 সাংসদ হানিফের উদ্যোগে ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এলো করোনা ওয়ার্ডে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সাংসদ হানিফের উদ্যোগে ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এলো করোনা ওয়ার্ডে

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০২১

কুষ্টিয়ার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের একটি উদ্যোগই বদলে দিল করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ চিত্র। তার উদ্যোগে এক দিনের মধ্যে সরকারি অক্সিজেন সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত হলো অক্সিজেনসহ ২০০টি সিলিন্ডার। সাংসদের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক, রোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ড করোনা রোগীতে ঠাসা। সেখানে ১০০ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ১১৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা আছে ১০ জনের জন্য। এ ছাড়া ৩৪৭টি ছোটবড় সিলিন্ডার আছে। কিন্তু রোগীদের চাপে হাসপাতালে থাকা সরকারি অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা যেন কোনোভাবেই চাহিদা মেটাতে পারছিল না। অক্সিজেনের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। এমন খবর জানার পরপরই কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেনসহ ১০০ সিলিন্ডার সরবরাহের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবসায়ী নেতা অজয় সুরেকাকে নির্দেশ দেন। অজয় সুরেকা দ্রুত শহরের মনির অক্সিজেন ডিপোতে গিয়ে সিলিন্ডার নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। আরও ১০০ সিলিন্ডার (বড় আকার) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই সিলিন্ডারগুলোও সাংসদ হানিফের অনুরোধে মনির অক্সিজেন ডিপোর মালিক মনিরুল ইসলাম কোনো টাকা ছাড়াই সরবরাহ করেছেন। যুক্ত হলো অক্সিজেনসহ ২০০টি সিলিন্ডার।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, করোনার এই মুহূর্তে সাংসদ হানিফ ও আওয়ামী লীগ নেতা অজয় সুরেকা যে মহতী কাজ করছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। চিকিৎসক হিসেবে তাঁরা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন এবং হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক জেলায় অক্সিজেন সংকটে রোগী মারা যাচ্ছেন। এটা যাতে কুষ্টিয়ায় না হয়, সে জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা খুবই ভালো। যার যেটুকু সম্ভব, এভাবে জেলার বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ বার করে হলেও জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, চিকিৎসক সবার সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের প্রয়োজনের কথা শোনা হয়। সেটা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কুষ্টিয়াতে প্রতি মাসেই দুই থেকে তিনবার যাওয়া হয়। গেলেই হাসপাতালে যাই। নিজে হাসপাতালের চিত্র দেখে সবকিছু করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও করব।’

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads