• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কাউখালীতে কালভার্ট ও খাল দখল করে পানি চলাচল বন্ধ করেছে প্রভাবশালীরা

  • কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০২১

কাউখালীর বিভিন্ন সড়ককে সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য কালভার্ট নির্মাণ করে সড়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু একশ্রেণির প্রভাবশালীদের কারনে দিনদিন কালভার্টগুলো দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আবার কোথাও কোথাও কালভার্ট এর পানির প্রবাহ বন্ধ করে জমি বৃদ্ধি করে আস্তে আস্তে দখলে নেয়ার পায়তারা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৪নং চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের ডুমজুরি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় এমনিভাবে কালভার্টের নিচ ও মুখ ভরাট করে এবং স্থানীয় পানি প্রবাহের জন্য ছোট ছোট খালগুলো ভরাট করে প্রভাবশালীদের নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয় ফলে এলাকার ফসলী জমি নষ্ট হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার ডুমজুরী ইউনুছ ফরাজীর বাড়ি থেকে খাদেম আলী বাড়ি পর্যন্ত খালটি বালু দিয়ে ভরাট করেছে প্রভাবশালীরা, চিরাপাড়া ভিটাবাড়িয়া সড়কে কে.এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের কালভার্টটি নিচ থেকে উপর পর্যন্ত মাটি দ্বারা ভরাট করে আটকে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে প্রভাবশালীদের দখলে নেয়ার পায়তারা চলছে। পশ্চিম চিরাপাড়া নদীর পাড়ে রাস্তার মজিদ ম্যানেজারের বাড়ির পশ্চিম পাশের কালভার্টটি গোড়া ভরাট করে দখল নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সুবিদপুর নিরোধ ঘোষের বাড়ির সামনের দুটি কালভার্টই মাটি দিয়ে ভরাট করে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

শহরের কচুয়াকাঠী এলাকায় গালর্স স্কুল ব্রীজ সংলগ্ন খালটি আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বিস্তৃত এই খালটিও প্রায় বন্ধের পথে। এছাড়াও কুমিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখের খালটি সিএন্ডবি রাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর মাঝের অংশটিও একই কায়দায় প্রভাবশীদের কালো থাবায় গ্রাস করে নিয়েছে। যার কারনে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে এবং এসকল এলাকার কৃষি ফসল গত ২০-২৫ বছরের তুলনায় উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বলে কৃষকরা জানান।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার স্থাপনাগুলো বছরের একটি বড় অংশ পানিতে ডুবে থাকে। ফলে স্থাপনাগুলোর স্থায়িত্ব দুর্বল হয়ে গেছে, যেকোন সময় ধ্বসে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহম্মেদ জানান, যারা পানির প্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা তৈরি করার পায়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads