• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯
খৈয়া গোখরার ডিম থেকে ফোঁটানো হলো ৪৪ বাচ্চা    

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

খৈয়া গোখরার ডিম থেকে ফোঁটানো হলো ৪৪ বাচ্চা    

  • রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০২১

এক কৃষক বাড়ির পাশে বিক্রি করা কিছু মেহগনি কাটছিলেন। পরে সেসব গাছের গোড়া কাটার সময় মাটির নিচে খোড়লের ভিতরে কিছু সাপের ডিম দেখতে পান। এ সময় একটি সাপও মেরে ফেলে স্থানীয়রা। এমন ঘটনা ঘটে যশোর সদরের গাঁওঘরা গ্রামে। পরে সেখান থেকে সাপের ডিম পাওয়ার খবর আসে গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারে। খবর পেয়ে কর্মকর্তারা সাপের ডিমগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। সংগ্রহ করা ডিমগুলি ফোঁটানোর জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু করেন তারা। ইতোমধ্যে সেখান থেকে ৪৪টি খৈয়া গোখরা সাপের বাচ্চার জন্ম হয়। 

শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারের হারপোলজিস্ট সোহেল রানা সৈকত জানান,৩১ মে যশোর সদর থানার গাঁওঘরা গ্রামের এক ব্যক্তি তার বসত বাড়ীর কয়েকটি মেহগনি গাছ বিক্রি করেন। পরে সেই মেহগনি গাছ কাটার পর গাছের গুঁড়ির নিচে খোড়ল থেকে একটি গোখরা সাপ বের হয়ে আসে। এ সময়ে উৎসুক জনতা সাপটিকে মেরে ফেলে। পরবর্তীতে একটি গাছের গুঁড়ির নিচে মাটির ভিতর গোখরা সাপের ডিম দেখতে পায়। এ সময় বিষাক্ত সাপের ডিম বলে এলাকাবাসী সেগুলো নষ্ট করতে চাইছিল। এ সময় স্থানীয় রকসি নামের এক ব্যক্তি ডিমগুলো নষ্ট না করতে বাধা দেন। তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ.এস.এম জহির উদ্দিন আকনের নেতৃত্বে ফরেস্টার হাফিজুর রহমান ডিমগুলো সংগ্রহ করেন। পরে  উদ্ধারকৃত ডিমগুলো গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারে নিয়ে আসেন।

সোহেল রানা সৈকত আরো জানান, বিশেষ প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনায় শেখ কামাল ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টারে প্রাপ্ত ডিমগুলো ওই দিনই ফোঁটানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে ৪৪টি খৈয়া গোখরা সাপের বাচ্চা ফুঁটেছে। উপযুক্ত সময়ে বনে অবমুক্ত করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads