• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

লকডাউনে কর্মহীন মানুষ : হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরা

  • সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০২১

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুইদিন ধরে ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য এই দুইটি পয়েন্টে ভির জামাচ্ছে। দৃশ্যটা ঈদ উৎসবে মানুষ বাড়ি ফেরার মত হলেও প্রত্যেকের মুখে হতাশার চাপ লক্ষ করা গেছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছে বলে জানায় একাধিক যাত্রী।

সরেজমিনে আজ রোববার সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বাস্তবতা দেখে মনে হয় যেন ঈদ উৎসব শুরু হয়েছে। দূরপাল্লার পরিবহন না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ভাড়া করে স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। গত শনিবার থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে যাত্রীদের ভির হচ্ছে বলে জানায় ফুটপাথ দোকানদার আব্দুল মালেক।

কিশোরগঞ্জ জেলার আবুল কালাম নামে একজন বাড়ি যাচ্ছেন স্বপরিবারে। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চারজনের পরিবার। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মুক্তিনগর এলাকায় ভাড়া থেকে শিমরাইল মোড়ে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে ফেরি করে শসা, গাজর, খিঁড়াসহ একেক সময় একেক ধরনের খাবার বিক্রি করতাম। লকডাউনে দূরপাল্লার বাসবন্ধ থাকলে বসে থাকতে হয়। গত ২২ জুন থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় ব্যবসা বন্ধ। সরকার লকডাউন আরো বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দূর পাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলে আমার মত ফেরি ওয়ালাদের আয় রোজগার থাকেনা। দুইদিন কাজ না করলে খাবার জুটে না। সামনে দীর্ঘ লকডাউন হলে চলব কি করে। তাই চলে যাচ্ছি। বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় হেটে হেটে জালমুড়ি বিক্রেতা রতন হতাশা প্রকাশ করেন বলেন, লকডাউনে জনসমাগম কম থাকায় বেচা কিনা নেই। ম্যাচ বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচ জোগার করাই কষ্ঠকর হয়ে পড়েছে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। কর্মহীনতার কারণেই বাড়ি ফিরছে বলে জানায়, কুমিল্লার কালাম, ফেনির আব্দুল আলীম, নরসিংদীর সুজন ও ভৈরবের সোহেল। তারা বলেন,দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে হলেও যেকোন ভাবে বাড়ি যেতে হবে। এছাড়া কোন উপায় নেই।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা আসায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যে যেভাবে পারছে বাড়ি যাচ্ছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পন্থায় যাচ্ছে যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন বাস্তাবায়নে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads