বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঈদুল আযহা উপলক্ষে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। লকডাউন পরবর্তী সময়ে পশুরহাটে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা বেশী।
ফকিরহাট উপজেলায় সবচেয়ে বড় বেতাগা পশুরহাট। বেতাগা পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীন হাটে আসা অধিকাংশ লোকজন। হাট কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে মাস্ক দিলেও অনেকেই তা ব্যবহারে অনিহা প্রকাশ করছে। কেউ কেউ মাস্ক পকেটে, কেউবা মাস্ক হাতে নিয়ে পশুরহাটে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেতাগা পশুরহাটে বিভিন্ন প্রজাতির ১০হাজার গরু উঠেছে। এদিন ৩হাজার গরু বিক্রি হয়েছে বলে ইজারাদারগণ জানিয়েছেন। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়। এছাড়া হাটে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও ভেড়া এসেছে।
গরু কিনতে আসা আসলাম হোসেন বলেন, বাজারে গরুর দাম সন্তোষজনক। গরু বিক্রেতা রবিউল হাওলাদার জানান, আমি ৫ টি গরু নিয়ে এসেছিলাম, এর মধ্য ৪ বিক্রি হয়ে গেছে।
বিক্রেতা বাবুল বেপারী জানান, আমি একটি বড় ষাড় এনেছি। এখনো বিক্রি করতে পারিনি। এখানে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে বেশী।
বেতাগা পশুর হাটের সভাপতি আনন্দ দাশ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার চেষ্টা করছি, আমরা বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছি। পাশাপাশি ভলেন্টিয়ার টিম গঠন করে মানুষকে সচেতন করছি। বাজারে গরুর আমদানি ভাল। হাট কমিটির সাধারন সম্পাদক অসিত কুমার দাশ জানান, যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসবে, ক্রেতারা সংখ্যা ততই বাড়বে। তিনি বলেন জাল টাকা পরীক্ষা করার জন্য এখানে পয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনকরা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা.পুষ্পেন কুমার শিকদার জানান, কোরবানীর পশুর হাটে গবাদি পশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।এছাড়া হাটে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করছেন।