মাদারীপুরের কালকিনিতে ১৭দিন আগে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছিলেন নয়ন পাল(৩৪) নামে এক ফার্মেসির কর্মচারী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে বড় ছেলের এ মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষপানে করে তার বৃদ্ধ মা মেঘনা পাল(৬০) আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
ওই কর্মচারী পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী গ্রামের গৌতম পালের ছেলে। সে উপজেলা সদরের হাওলাদার ওষুধ ফার্মেসির কর্মচারী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, নয়ন পাল গত ১৭ দিন আগে সকাল বেলা তার নিজ ঘর থেকে বের বের হন। এসময় ঘরের সামনে একটি কুকুরকে দেখে তিনি তাড়া দেন। এতে ওই কুকুরটি ক্ষিপ্ত হয়ে নয়নকে এলোপাথারীভাবে প্রায় ৫/৬ টি কামড় বসিয়ে দেয়। এতে করে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে সেখানে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বুধবার সকালে তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে নয়ন পালের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তার বৃদ্ধ মা মেঘনা পাল(৬০) বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন মেঘনা পালকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ ছাড়া ওই একই দিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আরও ১৪ জন আহত হয়েছিল।
নিহত নয়ন পালের প্রতিবেশি দিদার হোসেন বলেন, ছেলে নয়নের মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে তার মা মেঘনা পাল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে এখন মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে হাওলাদার ফার্মেসীর পরিচালক ফারুক আলম খোকন তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, নয়ন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। আজ বৃস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
