• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
ফেঁসে গেলেন দুই ডিবি কর্মকর্তা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

এসপির নামে চাঁদাবাজি

ফেঁসে গেলেন দুই ডিবি কর্মকর্তা

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুলাই ২০২১

বগুড়ার পুলিশ সুপারের (এসপি) নামে চাঁদাবাজি করে ফেঁসে গেছেন ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তাদের ইতোমধ্যে বগুড়া থেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। বদলীকৃত দুজনের মধ্যে একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন-বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সাইবার ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন এবং একই ইউনিটের এসআই শওকত আলম। গতকাল রোববার রাতে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় গত শনিবার রাতে এসআই শওকত আলমকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনকে রাজশাহী রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৭ মে বগুড়া সদরের শিকারপুর গ্রামে মাস্টার বিড়ি ফ্যাক্টরিতে যান এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ফ্যাক্টরির গোডাউনে বিপুল পরিমাণ জাল ব্যান্ডরোল মজুত আছে মর্মে মাস্টার বিড়ির স্বত্বাধিকারী হেলালকে ডেকে আনেন। গোডাউন খোলার পর বিপুল পরিমাণ ব্যান্ডরোল পাওয়া গেলেও হেলাল দাবি করেন সেগুলো বৈধ। কিন্তু ডিবি পুলিশের কথা ব্যান্ডরোলসহ হেলালকে ডিবি অফিসে যেতে হবে। একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তা হেলালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে জানানো হয় এসপি সাহেবের তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান হয়েছে। এসপি সাহেবকে ম্যানেজ না করতে পারলে ব্যান্ডরোলসহ হেলালের নামে মামলা দিতে হবে। এসপি সাহেবসহ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দুই কোটি টাকা দাবি করা হয়। একপর্যায়ে ২৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হন হেলাল। এর ১০ লাখ টাকা ওই দিন দিতে হবে এবং বাকি ১৫ লাখ টাকা এক সপ্তাহ পরে দেবে। হেলাল ৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ওই রাতেই তাদের হাতে দেন। অবশিষ্ট ১৬ লাখ টাকা না দিয়ে হেলাল টালবাহানা করে জুন মাস পার করেন। জুলাই মাসের ১১ তারিখে বগুড়ার এসপি আলী আশরাফ ভূঞার বদলির আদেশ হয়। এসপি সাহেব চলে যাচ্ছেন, তাকে টাকা দিতে হবে মর্মে হেলালকে চাপ দিতে থাকেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। ফলে হেলাল তার এক পরিচিতজনের মাধ্যমে ১৩ জুলাই বিষয়টি এসপিকে জানান। এসপি সাহেব তাৎক্ষণিক হেলালকে অফিসে ডেকে আনেন। বিস্তারিত শোনেন এবং হেলালের কাছ থেকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। অভিযোগের পর ১৪ জুলাই সন্ধ্যার পর হেলালকে ৯ লাখ টাকা ফেরত দেন তারা। পরদিন অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন) আলী হায়দার চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন পুলিশ সুপার।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads